কলকাতা: কাল পুরভোটের গণনা (Kolkata Municipality Counting), বিজয় উৎসবে নেই কমিশনের (State Election Commission) নিষেধাজ্ঞা। এমনটাই জানানো হল কমিশনের (State Election Commission) তরফে। উল্লেখ্য, এর আগে বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election) সময়ে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বিজয় উৎসবে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্বাচন কমিশন। তবে এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন কোনও নিষেধাজ্ঞা রাখল না। 


রাত পোহালেই কলকাতা পুরভোটের (KMC Election 2021) রায়, স্ট্রং রুমে কড়া নিরাপত্তা। নিরাপত্তায় ড্রোন দিয়েও নজরদারি চালাবে কলকাতা পুলিশ। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তায় স্ট্রং রুম, কাল সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনা। কাল কলকাতা পুরভোটের (Kolkata Municipality Election) রায়, ৯৫০ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ।


১১টি স্ট্রং রুমের ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। সিসিটিভি নজরদারিতে কাল কলকাতা পুরভোটের গণনা। ১১টি স্ট্রং রুমের নিরাপত্তায় ৩ হাজার কলকাতা পুলিশ। ১৬টি বরোর জন্য ১১টি স্ট্রং রুমে কাল পুরভোটের গণনা। রাত পোহালেই কলকাতা পুরভোটের ফল ঘোষণা। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে স্ট্রং রুমগুলি। হাইকোর্টের নির্দেশে স্ট্রং রুম এবং গণনাকেন্দ্রেও রয়েছে সিসি ক্যামেরার নজরদারি।


পরীক্ষা শেষ। এবার অপেক্ষা রেজাল্ট আউটের। কার মুখে হাসি ফুটবে? আশাভঙ্গ হবে কার? 
উত্তর জানা যাবে আর কয়েকঘণ্টার মধ্যেই। মঙ্গলবার কলকাতা পুরসভার ফলপ্রকাশ। তার আগে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে স্ট্রং রুমগুলি।



স্ট্রং রুম থেকে গণনাকেন্দ্র। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রতিটি জায়গাতেই রয়েছে সিসি ক্যামেরায় নজরদারি। ভোটগণনার সময় করা হবে ভিডিওগ্রাফি। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সকাল ৮টা থেকে ১৪৪টি ওয়ার্ডের জন্য ১১টি কেন্দ্রে হবে ভোটগণনা। মোট ১৩ থেকে ১৬ দফায় ভোট গণনা হবে। প্রত্যেক কেন্দ্রেই ৭টি টেবিলে হবে গণনা।


প্রতিটি গণনা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকবেন একজন করে অ্যাসিস্ট্যান্ট মিউনিসিপাল রিটার্নিং অফিসার। বর্তমানে ইভিএমগুলি রয়েছে একাধিক স্ট্রং রুমে। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন স্ট্রং রুম হয়েছে। তেমনই এখানে ভোট গণনা হবে উত্তর কলকাতার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের। 
নেতাজি ইন্ডোরের পাশে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রেও তৈরি হয়েছে স্ট্রং রুম। কলকাতা পুলিশের কমব্যাট ফোর্সের সঙ্গে মোতায়েন রয়েছে লাঠিধারী পুলিশ। 


প্রতিটি গণনাকেন্দ্রেই থাকবে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিটি জায়গায় সোমবার থেকেই ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। গণনাকেন্দ্রের নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবেন মোট ৩ হাজার পুলিশকর্মী। যারমধ্যে আধিকারিক রয়েছেন ১ হাজার।


প্রতি কেন্দ্রেই মোতায়েন থাকবেন একাধিক ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার। নিরাপত্তায় থাকছে ক্যুইক রেসপন্স টিম, ফ্লাইং স্কোয়াড এবং রিজার্ভ পুলিশ।  নজরদারি চলবে ড্রোনের মাধ্যমেও। এছাড়া কাউন্টিং এজেন্টরা মোবাইল ফোন বা অন্য কোনও বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম নিয়ে গণনাকেন্দ্রের ভিতরে ঢুকতে পারবেন না। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, করোনার কথা মাথায় রেখে মেনে চলা হবে কোভিড বিধি।