কলকাতা: আলিপুর আদালত চত্বরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ২ আইনজীবী ও আদালতের ১ কর্মী। তিনজনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 


বৃহস্পতিবার প্রবল বৃষ্টিতে জল থইথই আলিপুর আদালত চত্বরে ঘটে যায় বিপদ। বৃষ্টির জেরে এজলাসের পাশে টিনের শেডে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল।  


আচমকাই শেডের ধারে লোহার পাইপে হাত পড়তেই বিদ্যুৎস্পষ্ট হন আইনজীবী সুপ্রতিম বারিক। তাঁকে বাঁচাতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন সহকর্মী অরোদীপ মুখোপাধ্যায়। 


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দোকানদার নীরজকুমার ঠাকুর, কাঠের লাঠি দিয়ে দুজনকে উদ্ধার করেন। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় সিএমআরআই হাসপাতালে। আইনজীবীদের অভিযোগ, ২০০৯ নিকাশি নালার সংস্কার হয়নি। ফলে, বৃষ্টি হলে জলমগ্ন হয়ে পড়ে চত্বর। 


অন্যদিকে, জোড়াবাগানে দোকানের শাটার নামাতে গিয়ে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয় এক প্রৌঢ়ের। দর্পনারায়ণ টেগোর স্ট্রিটের বাসিন্দা ওই প্রৌঢ়ের নাম কাশীনাথ জ্যোতি। এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ।


কয়েকমাস আগে কলকাতার বুকে ঘটে যাওয়া বিদ্যুৎস্পৃষ্টের এক মর্মান্তিক ঘটনার স্মৃতি সকলের মনে টাটকা। গত ১১ মে, রাজভবনের সামনের ফুটপাথে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় মারা যান ঋষভ মণ্ডল নামে এক তরুণ ইঞ্জিনিয়ার। 


২৫ বছরের ওই যুবক ফরাক্কার বাসিন্দা। কলকাতার হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়ামে কর্মরত ছিলেন। মঙ্গলবার বিকেলের টানা বৃষ্টিতে, রাজভবনের নর্থ গেটের সামনে হাঁটু সমান জল জমে যায়। 


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃষ্টি থামার পর, সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ  জমা জলের মধ্যেই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন ওই যুবক। হঠাৎই একটি লাইটপোস্টের পাশে পড়ে গিয়ে ছটফট করতে থাকেন তিনি। তারপরই সব শেষ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, লাইটপোস্টের খোলা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে যুবকের। 


এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে গত ১৮ জুন কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে কলকাতার দু-জায়গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পরপর দু-জনের মৃত্যু হয়। 


জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পাটুলিতে যুবকের মৃত্যু হয়। পাটুলিতে জলের মধ্যে মাছ ধরতে নেমে লুটিয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দা তরুণ মণ্ডল। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, জলের মধ্যে তাঁরা টানাটানি করতে গেলে ইলেকট্রিক শক খেতে হয় তাঁদের। 


অন্যদিকে, হরিদেবপুরে তার ছিঁড়ে বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক বাইক আরোহীর। রাত এগারোটা নাগাদ ফিরছিলেন ওই যুবক। আচমকা বিদ্যুতের তার পড়ে যায় যুবকের ওপর। বছর ৩৬-এর মানিক বারুই পেশায় গাড়িচালক ছিলেন।