সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: দেশিয় পদ্ধতিতে তৈরি কোভ্যাক্সিন টিকার আকাল দেখা গেল শহরে। রাজ্যে ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিনের ভাঁড়ার শূন্য। ফলে শুক্রবার থেকে রাজ্যে বন্ধ হল এই ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ। এদিকে এর ফলে চরম সঙ্কটে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে সকাল থেকেই কোভ্যাক্সিন নেওয়ার লম্বা লাইন থাকলেও টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে টিকা দেওয়ার কথা জানান হলে শুক্রবার ভোর থেকে লাইন দিয়েছিলেন বহু মানুষ। কিন্তু পরবর্তীতে টিকা না সকলেই প্রায় ফিরে যেতে বাধ্য হয় এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে। কর্তৃপক্ষের তরফে জানান হয় মাত্র ৫০ জনকে আজ দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
এদিকে এই ঘটনায় সমস্যায় পড়েছেন কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ প্রাপকেরা। প্রথম ডোজের পর দ্বিতীয় ডোজ কোভ্যাক্সিন পাওয়ার সময় ক্রমশ বেড়ে চলেছে বলেই অভিযোগ জানান হয়েছে টিকা প্রাপকদের তরফে। জানা গিয়েছে রাজ্যে প্রায় দেড় লক্ষ কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া বাকি।
বৃহস্পতিবার বিধায়ক তথা কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ জানিয়েছিলেন জোগান না থাকায় এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাঁদের। জুলাই মাসে রাজ্যকে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন মিলিয়ে মোট ৭৩ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি, গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত মাত্র কেন্দ্রের তরফে ২৩ লক্ষ ডোজ পেয়েছে রাজ্য।
পুরসভার তরফে জানান হয়েছে তাঁদের কাছে নেই পর্যাপ্ত কোভ্যাক্সিন। কেন্দ্রের কাছ থেকে কোভ্যাক্সিন না পাওয়া যাওয়ায় বন্ধ করা হচ্ছে টিকাকরণ। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের অভিযোগ, যে পরিমাণ ভ্যাকসিনের জন্য আবেদন করা হচ্ছে, সেই পরিমাণ ভ্যাকসিন পাঠানো হচ্ছে না কেন্দ্রের তরফে। রাজ্যে যারা কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন বর্তমানে তাঁরাই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। শুক্রবার কলকাতা পুরসভার যে ৩৯টি কেন্দ্রে বন্ধ থাকবে কোভ্যাক্সিন টিকাকরণ। কোভ্যাক্সিন এলে আবার শুরু হবে টিকাকরণ, বৃহস্পতিবারই জানিয়েছে পুরসভা। তবে কোভ্যাক্সিন দেওয়া বন্ধ হলেও, স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মিলবে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন।