অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা : বিডন স্ট্রিটে বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হল বিজেপি নেতার বাড়ির একাংশ । অভিযোগের তির স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক ও কাউন্সিলরের দিকে। কলকাতা পুরসভায় বিজেপির সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন ধুন্ধুমার বাধে। সাংবাদিক বৈঠকে বাধা তৃণমূল কাউন্সিলরদের। বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ, মীনা দেবী পুরোহিতের সঙ্গে তুমুল বচসা তৃণমূল কাউন্সিলরদের।
ঘটনার সূত্রপাত গতকাল পুরসভার বাইরে। কলকাতা পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের এক বিজেপি কর্মীর বাড়ির একাংশ ভেঙে দেওয়া হয় বুলডোজার দিয়ে। বিজেপির অভিযোগ, তাঁকে কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে বাড়ির একাংশ ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
এই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে পুরসভার কাউন্সিলার স্টাফ রুমে বিজেপির তরফে একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির তিন কাউন্সিলর। সঙ্গে ছিলেন যাঁর বাড়ি ভাঙা হয়েছে, সেই ব্যক্তি। পাশাপাশি ছিলেন বিজেপির উত্তর কলকাতার জেলা সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ। সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন তৃণমূল কাউন্সিলরদের একটি দল সেখানে হাজির হন। তাঁরা দাবি করেন, এভাবে বহিরাগতদের নিয়ে এসে পুরসভার কাউন্সিলর স্টাফ রুমে সাংবাদিক বৈঠক করা যায় না। বহিরাগত বলতে, কাউন্সিলর বাদে আর যে দুজন উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকেন। সেখানে বাদানুবাদ শুরু হয়। সেই বাদানুবাদের সময় একে অপরের দিকে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ তুলতে থাকে। বিজেপি কাউন্সিলররা অভিযোগ করেন, তাঁদের উপর চড়াও হন। কর্মসূচি ভণ্ডুল করা হয়েছে। এনিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। বেশ কয়েকজন তৃণমূল কাউন্সিলর দাবি করছেন, বেআইনিভাবে প্রেস কনফারেন্স করা হচ্ছিল তো বটেই, সেই সঙ্গে তাঁদের আঘাত করা হয়েছে।
তৃণমূল কাউন্সিলররা পুরসভার চেয়ারম্যান মালা রায়ের কাছে অভিযোগ জানাতে হাজির হন। অন্যদিকে, মেয়রের সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপি কাউন্সিলররা। উভয় পক্ষই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর কথা জানিয়েছে।
তৃণমূল কাউন্সিলরদের তরফে বলা হয়, "ওঁদের বলেছি, কাউন্সিলর ক্লাবের গরিমা নষ্ট করা যায় না। এখানে বিজেপির জেলা নেতাদের নিয়ে এসে সাংবাদিক বৈঠক করছেন। আমরা বললাম, মেয়রের সঙ্গে কথা বললে তো সমাধান হতে পারে। কেন এটাকে পার্টি অফিস হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে CISF-এসে আমার গায়ে হাত দিচ্ছে।"
যদিও সজল ঘোষের বক্তব্য, "ওঁরা বহিরাগত নন। ভিক্টিম। ভিক্টিমরা সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন, যাঁদের বাড়ি ভাঙা হয়েছে। তাঁরা ছিলেন। আর আমাদের একজন নেতা ছিলেন। তিনি কলকাতার করদাতা। আর আমার যদি ভুল থেকে থাকে তার দায়িত্ব পুলিশের। তার দায়িত্ব পুরসভার সিকিউরিটির। এই গুণ্ডা-হার্মাদদের নয়।"