রুমা পাল, অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: পুলিশের (Kolkata Police) তরফে রিপোর্ট জমা না পড়ায়, কলকাতার পুরভোটে (Kolkata Municipality Corporation) বাহিনী মোতায়েন নিয়ে আজও কোনও সিদ্ধান্ত হল না। কাল রিপোর্ট জমা পড়লে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে কমিশন সূত্রে খবর। আর এরই মাঝে ট্যুইটে পুরভোটে ফের কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েনের প্রসঙ্গ তুললেন রাজ্যপাল (Governor Jagdeep Dhankar)।

Continues below advertisement

সোমবার কলকাতা পুরসভার ভোটে (Municipality Vote) নিরাপত্তা ও বাহিনী সংক্রান্ত বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা থাকলেও, তা পিছিয়ে গেল। রাজ্য নির্বাচন কমিশন (state Election Commission) সূত্রে খবর, এদিন পুরভোটে বাহিনী মোতায়েন সংক্রান্ত রিপোর্ট পুলিশের (Kolkata Police) তরফ থেকে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও, তা জমা পড়েনি। 

মঙ্গলবার সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর, পুলিশ প্রশাসনে কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে নিরাপত্তা সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।

Continues below advertisement

সূত্রের খবর, রাজ্য পুলিশ দিয়েই কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipality Corporation) নির্বাচন পরিচালনার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর পক্ষে রাজ্যপাল।

এই প্রেক্ষাপটেই এদিন রাজ্যপাল (Governor) জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar) ট্যুইট করে বলেন, কলকাতা পুরভোটের প্রস্তুতি ও কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (CAPF) মোতায়েন নিয়ে জানতে চেয়ে, ৭ ডিসেম্বর রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে রাজভবনে ডাকা হয়েছে। সেই সঙ্গে, অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট করানোও যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কর্তব্য, তাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে ট্যুইটে (Tweet)।

অন্যদিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, বাহিনী মোতায়েন সংক্রান্ত রিপোর্ট হাতে পেলেই মঙ্গলবার তা রাজ্যপালকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এর আগে দোসরা ডিসেম্বর, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের সঙ্গে বৈঠকে পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রসঙ্গ তুলেছিলেন রাজ্যপাল। 

ফিরহাদ হাকিমের কথায়, রাজ্যপালকে হাত জোড় করে বলছি, দয়া করে বিজেপির কথায় কাজ করবেন না, রাজভবনের গড়িমা আছে। আইনশৃঙ্খলা যথেষ্ট ভাল। বিজেপির সভাপতি ও শুভেন্দু কী বলল, সেটা আপনার পক্ষে বলা ভাল না।

রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর,  সাধারণত কলকাতার পুরভোটে প্রতি ওয়ার্ডে গণনায় আগে ১৪টি করে টেবিল থাকলেও, এবার করোনার জেরে সাতটি করে টেবিল থাকবে। এ ছাড়া ২৮৬টি সেক্টর অফিসেই মোতায়েন থাকবে সশস্ত্র পুলিশ।