কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আশঙ্কায় আগামী ২ দিন রাজ্যের সমস্ত আদালত বন্ধ থাকবে। তাই আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে হচ্ছে না নারদ-সহ কোনও মামলার শুনানি। 


এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছে, আদালতের কর্মীরা যদি এই দুদিন কাজে না আসতে পারেন, তাহলে,তাঁদের উপস্থিত হিসেবে গণ্য করা হবে। 


এও বলা হয়েছে, কোর্ট কর্মীদের যাতায়াতের জন্য যে ১৫টি বাস বরাদ্দ করেছে রাজ্য প্রশাসন, আবহাওয়া পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে তবেই চালানো হবে। 


আগামী বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে।


এর আগে, সোমবার শুনানি শেষে বলা হয়েছিল, মঙ্গলবার ছুটি নেবেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। তাই বুধবার ফের বৃহত্তর বেঞ্চে মামলার শুনানি বসবে। কিন্তু, পরে ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়টি মাথায় রেখে শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।


নারদকাণ্ডের শুনানিতে বুধবার পর্যন্ত হাইকোর্টে মামলা স্থগিতের আর্জি জানিয়েছিল সিবিআই। সেই আর্জি খারিজ করে দেয় পাঁচ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ। তারপর শুরু হয় নারদকাণ্ডের শুনানি।  


প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে সওয়াল-পর্ব চলার পর সোমবারের মতো শেষ হয়ে যায় নারদকাণ্ডের শুনানি। এখনও নারদকাণ্ডে হেভিওয়েটদের জামিন সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি হয়নি।  


প্রাথমিকভাবে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ৪ নেতার শর্তাধীন জামিন নিয়ে মতপার্থক্য থাকায় তারা বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানি পক্ষে সওয়াল করেন। যারপরই ওই দুই বিচারপতির পাশাপাশি আরও তিন বিচারপতিকে নিয়ে ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করা হয়।


এদিকে, আজ সুপ্রিম কোর্টে সিবিআইয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে নারদ মামলার শুনানি হবে। কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলায় ৪ হেভিওয়েট নেতাকে গৃহবন্দি রাখার যে রায় দেয়, তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সোমবারই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল সিবিআই। 


কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা চাইছিল, গতকালই যাতে শুনানি হোক। কিন্তু, গতকাল শীর্ষ আদালতে বিষয়টি সময়মতো গৃহীত না হওয়ায় শুনানিপর্ব শুরু হয়নি। 


পরে, জানানো হয়, মঙ্গলবার শুনানি হবে। আজ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিনীত সারণ ও বি আর গভাইয়ের ভ্যাকেশন বেঞ্চে শুনানি হবে।