কলকাতা: জয়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন। ভোট শতাংশর পরিমাণই প্রমাণ করে, সবাই ভোট দিতে পারেননি। বিজেপিকে যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদের ধন্যবাদ। এই সমর্থন পাথেয় করে চার কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে ভাল ফল করবে বিজেপি, দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।


ভবানীপুরে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুললেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। তিনি বলেন, "মানুষকে যদি ভোট দিতে দিত তাহলে কী ফলাফল হত সেটা আমরা, আপনারা সকলেই জানতেন।  ৮২ ওয়ার্ডের চিত্র যদি দেখা যায় তাহলে বোঝা যাবে যে পরিমাণে ওখানে ভোট পড়েছে তা পুরো ছাপ্পা ভোট। ফেক ভোটিং হয়েছে। আমি নিজেই তো ধরেছিলাম অনেককে সেখানে। সংবাদমাধ্যমের সামনেই সেই ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল। আমি ১০১ শতাংশ নিশ্চিত ছাপ্পা ভোটের বিষয়ে। তবে সংগঠনেও বেশ কিছুটা দুর্বলতা রয়েছে। সেটা স্বীকার করছি। আরও অনেকটা কাজ করতে হবে।" 


এদিকে, ভবানীপুরে নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুরে রেকর্ড ভোটে জয়ী তৃণমূল নেত্রী। ভবানীপুরে ৫৮ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জিতলেন ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে। ভবানীপুরে জয়ের হ্যাটট্রিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একুশের বিধানসভা ভোটের দ্বিগুণ ব্যবধানে জয়। ২০১১-র উপনির্বাচনের জয়ের ব্যবধানকেও ছাপিয়ে গেলেন মমতা। ২০১১-র উপনির্বাচনে জয়ের ব্যবধান ছিল ৫৪ হাজার ২১৩। ভবানীপুরের ৭টি ওয়ার্ডেই এগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


ভবানীপুরে বিপুল ভোটে জয়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয় তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, "এই জয় ভবানীপুরের মানুষের জয়, বাংলার মানুষের জয়। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর অন্যায় হয়েছে, অসৎ উপায়ে কারচুপি করে পিছন দিক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছুরি মারা হয়েছে তখন আমরা আওয়াজ দিয়েছিলাম নন্দীগ্রামের বদলা নিন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিন। ভবানীপুরের ঘরের মেয়ের অপমান হয়েছিল সেদিন তাই মানুষ আজ তার বদলা নিল। নন্দীগ্রামে শুভেন্দু মিরজাফরের কাজ করেছিল। এখানে ববি হাকিম মিরজাফর নয়। অনুগত্যের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে আছেন। তাঁর জন্য প্রাণও দিতে পারেন। এই জয়ই বলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আর বাংলায় আটকে রাখা যাবে না।"