কলকাতা : রাজ্যে বিভিন্ন সঙ্কটকালে ঝলসে উঠেছে তার কলম। তিনি লিখেছেন, '' দেখ্ খুলে তোর তিন নয়ন / রাস্তা জুড়ে খড়্গ হাতে / দাঁড়িয়ে আছে উন্নয়ন।' আপাত রাশভারী এই মানুষটিই অনুজ কবিদের কাছে ছিলেন অভিভাবক স্থানীয়। ভাগ করে নিতেন নানা মজার অভিজ্ঞতা। শঙ্খ ঘোষের শেষ যাত্রায় বারবার বিভিন্ন মুখে উঠে এল সেই সব কথা।
পুরসভার শববাহী গাড়ি পৌঁছে যায় তাঁর বাড়ি। সেখানে পিপিই পরেই তাঁর দেহ বার করেন পুরসভার সংশ্লিষ্ট কর্মীরা। কবির মৃতদেহেও পরানো হয় জ্যাকেট। কারণ তিনি কোভিড পজিটিভ ছিলেন। তাই তাঁর শেষকৃত্যও সম্পন্ন হবে কোভিড প্রোটোকল মেনেই। তাঁর বাড়ির সামনে নিকটজন ও অনুরাগীরা জড়ো হন। হাজির ছিলেন এলাকার বিদায়ী কাউন্সিলর সহ বহু বিশিষ্ট জন।
শঙ্খ ঘোষের বাড়ি থেকে তাঁর দেহ শববাহী গাড়িতে পৌঁছে যায় সল্টলেকে ভাইয়ের বাড়ি। সেখান থেকে তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে নিমতলা মহাশ্মশানে। সেখানেই দাহ কাজ হবে কবি শঙ্খ ঘোষের।
তিনি চাননি কোনও আড়ম্বর। অপছন্দ ছিল গান স্যালুট। তাই রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্যালুট ছাড়াই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে অনাড়ম্বর ভাবেই।
১২ এপ্রিল থেকে সর্দি-কাশিতে ভুগছিলেন। পরে তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বর্ষীয়ান কবি হাসপাতালে যেতে অনিচ্ছুক ছিলেন। তাই হোম আইসোলেশনেই চলছিল চিকিত্সা। আজ সকালে বাড়িতেই জীবনাবসান হয় শঙ্খ ঘোষের। বাড়িতে ফোন করে শোকজ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, নীরবে, আড়ম্বরহীন শেষকৃত্য চায় প্রয়াত কবির পরিবার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গান স্যালুট ছিল কবির অপছন্দের, তাই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে।
শঙ্খ ঘোষের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোকবার্তায় তিনি লিখেছেন শঙ্খবাবুর সঙ্গে তাঁর অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিল। শঙ্খবাবুর প্রয়াণে সাহিত্য জগতে অপূরণীয় ক্ষতি।
গভীর শোক প্রকাশ করে ট্যুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লিখেছেন, তাঁর লেখা সর্বজনবিদিত। তাঁর মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। শঙ্খবাবুর পরিবাবের প্রতি সমবেদনা।