কলকাতা: বেসরকারি হাসপাতালে টিকাকরণ কর্মসূচির ভবিষ্য়ত কী? তা স্পষ্ট হল না শনিবারের বৈঠকের পরেও। কথা ছিল ১ মে থেকে তৃতীয় দফার টিকারকণ শুরু হবে রাজ্যে। কিন্তু ভ্যাকসিনের অভাবে কলকাতার সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালে আজ দিনভর বন্ধ রইল টিকাকরণ। 


বেলা ১২টা নাগাদ এ নিয়ে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের প্রশাসক ও শীর্ষ কর্তারা। আলোচনার পরেও রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালে কবে থেকে ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ শুরু হবে, সে নিয়ে কোনও স্পষ্ট উত্তর মিলল না। যে বেসরকারি হাসপাতাল রাজ্যের কাছ থেকে ভ্যাকসিন নেবে, সেই সব হাসপাতালকে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে আবেদন করতে হবে। কীভাবে আবেদন করা হবে, আবেদনের পর কীভাবে ভ্যাকসিন মিলবে, তা আজ সন্ধেয় জানানো হবে হলেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।


তৃতীয় দফার ভ্যাকসিনেশন শুরুর আগেই  বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে করোনার টিকাকরণ নিয়ে গাইডলাইন পাঠিয়েছিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের পাঠানো নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, ৩০ এপ্রিলের পর করোনা ভ্যাকসিনের সমস্ত পুরনো স্টক রাজ্য সরকারকে ফেরত দিতে হবে। ১ মে থেকে করোনার টিকাকরণ চালাতে হলে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে সরাসরি উৎপাদনকারী সংস্থার কাছ থেকে ভ্যাকসিন কিনে নিতে হবে।


আর তাতেই সমস্যার সূত্রপাত। বেসরকারি হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের তরফে অভিযোগ করা হয়, এই নির্দেশিকার কারণে বেসরকারি হাসপাতালের টিকারকণ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে, কারণ নিজেদের উদ্যোগে টিকা কিনে তা দেওয়া সময় সাপেক্ষ। ফলে সমস্যায় পড়বেন সাধারণ মানুষ, যাঁরা ইতিমধ্যেই প্রথম ডোজ নিয়েছেন এবং পরের ডোজের সময় হয়ে এসেছে তাঁদেরও জটিলতা বাড়বে। অবিলম্বে এই নির্দেশিকা প্রত্যাহারেরও দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা।


তবে এরই মধ্যে বেসরকারি হাসপাতাল হিসেবে অ্যাপোলো, ম্যাক্স ও ফর্টিস আশ্বাস দিয়ে জানিয়ে দেয়, তাদের কাছে ভ্যাকসিন রয়েছে। অর্থাৎ শনিবার থেকে তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণের করোনার ভ্যাকসিন দিতে পারবে তারা। যদিও রাজ্যে পর্যাপ্ত ডোজ না থাকায় পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ভ্যাকসিন কর্মসূচি শুরু করতে পারেনি রাজ্য।