কলকাতা: কলকাতার দুর্গাপুজো বললেই মাথায় আসে এই ভিড়ের ছবি। কিন্তু, করোনা-কালে ভিড় মানেই বিপদ! সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা। তাই সতর্কতাবশত, ভিড় ঠেকাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন পুজো উদ্যোক্তারা।
বাগবাজার সর্বজনীনের পুজো এবার পা দিল ১০২ বছরে। উত্তর কলকাতার বিখ্যাত পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম শতাব্দীপ্রাচীন এই পুজো। সাবেক সাজের প্রতিমার আকর্ষণে এখানে ফি বছর ছুটে আসেন কাতারে কাতারে মানুষ। কিন্তু, করোনা-আবহে এবার সেই ছবিটা পাল্টাতে চলেছে। বাগবাজারের পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, সংক্রমণ ঠেকাতে বেশ কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিচ্ছেন তাঁরা---
- মণ্ডপে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
- দর্শনার্থীরা বাগবাজার পার্কের একদিকের গেট দিয়ে ঢুকবে।
- একেকবারে ২০-২৫ জনকে ঢুকতে দেওয়া হবে।
- দর্শনার্থীরা মণ্ডপের সামনে দিয়ে প্রতিমা দেখে অন্য গেট দিয়ে বেরিয়ে যাবেন।
বাগবাজার সর্বজনীনের বিখ্যাত সিঁদুরখেলা... ফাইল চিত্র।
বাগবাজার সর্বজনীনের সিঁদুরখেলা অত্যন্ত জনপ্রিয়। প্রতিবছর বাগবাজারের সিঁদুরখেলা দেখতে অনেক দূর থেকে আসেন অনেকে। এবার করোনা-কালে সেই সিঁদুরখেলাতেও পড়েছে কোপ। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন--
- এবছর সিঁদুরখেলা হবে না। কেউ বরণ করতে চাইলে, তা করেই চলে যাবেন।
- পুজো প্রাঙ্গনে কেউ আড্ডা দিতে পারবেন না।
উত্তর কলকাতার আরেকটি বড় পুজো হল কলেজ স্কোয়ার। দর্শকদের কাছে আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হল কলেজ স্কোয়ারের প্রতিমা এবং আলোকসজ্জা। কিন্তু, তা দেখতে এবার ভিড় জমলে সমস্যা। তাই ভিড় ঠেকাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা---
- কলেজ স্কোয়ারের পুজো দেখতে এবার ঢুকতে হবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের গেট দিয়ে।
- মহাবোধি সোসাইটির গেট দিয়ে বেরোবেন দর্শনার্থীরা।
- একেকবারে ১৫ থেকে ২০ জনকে ঢুকতে দেওয়া হবে।
- ২০ ফুটের রাস্তায় নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করে দেওয়া হবে।
- যাতে দর্শনার্থীদের মধ্যে নিরাপদ দূরত্ব বজায় থাকে।
- কেউ মাস্ক না পরে থাকলে, তাঁকে মাস্ক দেওয়া হবে।
- দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে স্যানিটাইজারের ব্যবস্থাও।
একইভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে নাকতলা উদয়নন সঙ্ঘও। এবার মুদিয়ালিতে অঞ্জলি ও সন্ধিপুজোর সময় শুধু থাকতে পারবেন পাড়ার বাসিন্দারাই। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোতেও প্রবেশাধিকার থাকবে শুধুমাত্র পাড়ার বাসিন্দাদের। ম্যাডক্স স্কোয়ারে বন্ধ থাকবে আড্ডা।