নয়া দিল্লি : সদ্য কর্ণাটকে (Karnataka) ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে ভাল ফল করতে পারেনি সেরাজ্যের অন্যতম ক্ষমতাশালী আঞ্চলিক দল জনতা দল সেকুলার (JDS)। তার পর থেকেই বিজেপির (BJP) দিকে কিছুটা ঝুঁকে পড়েছে বিরোধী এই রাজনৈতিক দলটি ? অন্তত এমনই বলছে রাজনৈতিক মহল। এই পরিস্থিতিতে তাদের প্রশ্ন, তবে, কি ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়তে চলেছে এইচ ডি দেবগৌড়ার দল ?


২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কর্ণাটকের ২৮টি আসনের মধ্যে মাত্র ১টিতে জয়লাভ করেছিল জেডিএস। আর এবার কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনেও ভাল ফল করতে পারেনি তারা। রাজ্যে ২২৪টি আসনের মধ্যে মাত্র ১৯টিতে জয়ের মুখ দেখেছে তারা। অন্যদিকে, বিশাল জয় হাসিল করেছে কংগ্রেস। ক্ষমতাচ্যুত করেছে গেরুয়া শিবিরকে। ভোট-পর্বের শুরু থেকেই জেডিএস কিংমেকারের ভূমিকা নিতে পারে বলে যে জল্পনা শুরু হয়েছিল, সেই গুড়েও বালি পড়ে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীর জনাদেশের ভিত্তিতে কার্যত অনেকটাই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে জেডিএস। যে দলের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া ও তাঁর পুত্র এইচ ডি কুমারস্বামী। তাঁরা মনে করছেন, যদি তাঁদের একসময়ের সঙ্গী-দল বিজেপির সঙ্গে তারা জোট বাঁধতে পারত তাহলে হয়তো কংগ্রেসকে পরাস্ত করে নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক উদ্ধার করতে পারতো।


২০০৬ সালে কর্ণাটকে জোট সরকার গড়েছিল বিজেপি ও জেডিএস। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কুমারস্বামী এবং উপ মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। ২০ মাসের ক্ষমতা ভাগাভাগির ফর্মুলায়। তবে, দীর্ঘস্থায়ী হয়নি দুই দলের জোট । কারণ, জেডিএস কথামতো ক্ষমতা ছাড়েনি বিজেপিকে। তবে, একাধিক ইঙ্গিত মিলেছে যে, পুরনো সঙ্গী দলের দিকে ঝুঁকছে জেডিএস। 


তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পাশে দাঁড়ানো দেবগৌড়ার। অন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি যখন ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনার পর রেলমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করছে, তখন ভিন্ন অবস্থান নেন দেবগৌড়া। তিনি বলেন, "যে ক্ষতি হয়েছে তার পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিয়েছেন রেলমন্ত্রী। উনি ক্লানহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তদন্ত শেষ হতে দিন। মন্ত্রী নিজের সেরাটা দিচ্ছেন এবং এই সময়ে তাঁর পদত্যাগ চাওয়াটা কোনও বুদ্ধিমানের কাজ নয়।" শুধু তা-ই নয়, '২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলির জোট সম্ভাবনা নিয়ে গত মঙ্গলবারই সন্দেহ প্রকাশ করেন দেবগৌড়া।