নেপালি কবি ভানুভক্তের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ওলির বাসভবনে একটি অনুষ্ঠান চলছিল। ভানুভক্ত বাল্মিকী রামায়ণ নেপালিতে অনুবাদ করেন। নেপালি সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, সেখানেই ওলি দাবি করেছেন, নেপালের সাংস্কৃতিক দখলদারি ঘটেছে, তার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। অযোধ্যা মোটেই উত্তর প্রদেশে সরযূ নদীর ধারে নয়, সেটা দক্ষিণ নেপালে, থোড়ি এলাকায়, বাল্মিকী আশ্রমের কাছে। উত্তর প্রদেশ-নেপাল সীমান্ত রয়েছে, ভারতীয়দের তাই ভূগোলে কিঞ্চিৎ গন্ডগোল হয়ে যায়।
ওলি নাকি বলেছেন, ভারতীয়রা দাবি করেন, উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা শ্রীরামের জন্মভূমি। কিন্তু আসল অযোধ্যা তো বীরগঞ্জের পশ্চিমে, থোড়িতে। দেবী সীতার সঙ্গে ভারতের রাজপুত্র রামচন্দ্রের বিবাহ হয় বলে আমাদের বিশ্বাস। কিন্তু তখন তো যাতায়াত আর যোগাযোগ ব্যবস্থা যাচ্ছেতাই ছিল, এত দূরে বিয়ে হত নাকি! আসল অযোধ্যা বীরগঞ্জের একটা গ্রাম ছাড়া কিচ্ছু না। ভারতে অযোধ্যা নিয়ে কত বিতর্ক। অথচ আমাদের নেপালের অযোধ্যা দেখুন, কোনও বিতর্ক নেই। ওলি বলেছেন।
ওলি আরও বলেছেন, ঋষি বাল্মিকীর আশ্রমও আসলে নেপালে, যেখানে রাজা দশরথ পুত্র চেয়ে যজ্ঞ করেন, তা রিডি এলাকায় পড়েছে, সেটাও নেপালে। আর দশরথ যখন নেপালের রাজা, তখন তাঁর ছেলে যে নেপালি ছিলেন তাতে আর আশ্চর্য কী! নেপালে বহু বৈজ্ঞানিক গবেষণা হয়েছে, জ্ঞানের উদ্ভব হয়েছে। কিন্তু পরে এই সমৃদ্ধ ঐতিহ্য আর ধরে রাখা যায়নি। তিনি বলেছেন।
ওলির মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপি। তাদের জাতীয় মুখপাত্র বিজয় শঙ্কর শাস্ত্রী বলেছেন, ভারতের বাম দলগুলো মানুষের বিশ্বাস নিয়ে খেলা করে। ভারতের মত নেপালের কমিউনিস্টদেরও সেখানকার মানুষ প্রত্যাখ্যান করবেন। ভগবান রাম আমাদের বিশ্বাস, নেপালের প্রধানমন্ত্রীই হন বা অন্য কেউ, সেই বিশ্বাস নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না।