লখনউ: নামবদলের হিড়িকে ফের তোলপাড় উত্তরপ্রদেশ। রাজ্যের রাজধানী লখনউয়ের (Lucknow) নাম বদলে লক্ষণপুর ( Lakhanpur) রাখা হোক, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী যোগী আদিত্য়নাথকে (yogi adityanath) আর্জি প্রতাপগড়ের বিজেপি সাংসদ (BJP MP) সঙ্গম লাল গুপ্তা। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য়ের উপমুখ্য়মন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক বুধবার সংবাদমাধ্য়মকে জানান, লখনউয়ের নাম যে আগে 'লক্ষণনগরী' ছিল সেটা জানা। এনিয়ে রাজ্য় সরকার পরিস্থিতি বুঝেই এগোবে, জানান তিনি।
নামবদলের প্রস্তাব...
নামবদলের প্রস্তাব দিয়ে একটি চিঠি লেখেন প্রতাপগড়ের সাংসদ। লেখা, 'শ্রীরাম লখনউ লক্ষণকে উপহার দিয়েছিলেন। সেখান থেকেই এর নাম হয় লক্ষণপুর। কিন্তু আঠারোশা শতকে, তৎকালীন নবাব আসাদ-উদ-দৌলা জায়গাটির নাম বদল করে লখনউ রাখেন। তার পর থেকে ওই নামই চলে আসছে। দেশ যখন অমৃতকাল উদযাপন করছে, তখন দাসত্বের ওই সব চিহ্ন মুছে ফেলা উচিত।' প্রসঙ্গত, গত বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাতে গিয়ে ট্যুইটারে যোগী আদিত্য়নাথ লেখেন, 'লক্ষণের ভূমি, লখনউয়ে আপনাকে স্বাগত!' শহরের নামবদল নিয়ে অবশ্য এই প্রথমবার সরব নন বিজেপি নেতারার। অনেকেই যেমন হায়দরাবাদের নাম ভাগ্যনগর করার ব্যাপারে সরব হয়েছেন। ২০২২ সালের জুলাইয়ে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে খোদ প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও হায়দরাবাদকে ভাগ্য়নগর সম্বোধন করেন। এবার লখনউয়ের নামবদলের প্রস্তাব ঘিরে তুঙ্গে হইচই।
প্রেক্ষাপট...
গত বছর জুলাই মাসে তৃণমূল সাংসদ সাইদা আহমেদ কেন্দ্রের কাছে জানতে চান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দেশের কতগুলি শহরের নাম পরিবর্তনে অনুমোদন দিয়েছে? জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেন, ‘এলাহাবাদের নাম পরিবর্তন করে প্রয়াগরাজ রাখে উত্তরপ্রদেশ সরকার৷ ২০১৮ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাজ্য সরকারকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) দেওয়া হয়৷ রাজামুন্দ্রাই শহরের নাম রাজামহেন্দ্রবরম রাখার জন্য ২০১৭ সালের ৩ অগাস্ট অন্ধ্র সরকারকে এনওসি দেওয়া হয়৷ নগর উনতারির নাম বদলে বংশীধর নগর রাখায় ঝাড়খণ্ড সরকার ২০১৮ সালের অগস্টে কেন্দ্রের এনওসি পায়৷ মধ্যপ্রদেশের তিনটি শহর বীরশিঙ্গপুর পালি, হোশাঙ্গাবাদ নগর, বাবাই শহরের নাম পরিবর্তনের পর রাখা হয় যথাক্রমে মা বীরাসিনি ধাম (২০১৮), নর্মদাপুরম (২০২১) এবং মাখননগর (২০২১)৷ পঞ্জাবের শ্রী হরগোবিন্দপুর শহর বদলে শ্রী হরগোবিন্দপুর সাহিবের নাম রাখার জন্য ২০২২ সালের মার্চে অনুমোদন দেওয়া হয়৷’ কিন্তু নামবদলের এই ধারা কেন? প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে? যেমন ফৈজাবাদ স্টেশনের নাম বদলে রাখা হয় অযোধ্যা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন।
সেই তালিকায় কি নতুন সংযোজন হতে চলেছে লখনউ? বলবে সময়।
আরও পড়ুন:গায়েব ঠান্ডা, কেমন থাকবে মহানগরের হাওয়া বাতাস?