নয়াদিল্লি: পঞ্জাবে একটি কারখানায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। গ্যাস লিক করে মৃত্যু ১১ জনের। অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে আরও বেশ কয়েক জনকে (Ludhiana Gas Leak)। ঘটনাস্থলে উপস্থিত উদ্ধারকারী দল। পৌঁছেছে পুলিশ, দমকলবাহিনীও। চিকিৎসকদের একটি দল, দমকলবাহিনী এবং অ্যাম্বুল্যান্সও পৌঁছেছে। ওই কারখানা এবং তার সংলগ্ন এলাকা আপাতাত খালি করে দেওয়া হচ্ছে, যাতে বিপদের ঝুঁকি না বাড়ে (Ludhiana Gas Leak Incident)।
পঞ্জাবের লুধিয়ানার গিয়াসপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সকালে সেখানে একটি কারখানায় গ্যাস লিক করে দুর্ঘটনা ঘটে। লুধিয়ানার জেলাশাসক স্বাতী তিওয়ানা বলেন, "গ্যাস লিক করে বিপত্তি ঘটেছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী পৌঁছেছে ঘটনাস্থলে। মানুষজনকে উদ্ধার করা হচ্ছে। উদ্ধারকার্য চলছে জোরকদমে। এখনও পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আরও বেশ কয়েক জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।"
কী থেকে গ্যাস লিক করল, তা এখনও জানা যায়নি নিশ্চিত ভাবে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। আপাতত এলাকা খালি করার দিকেই নজর সকলের। কারণ যে কারখানায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই এলাকা অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ। তাই পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না চলে যায়, তৎপর প্রশাসন এবং উদ্ধারকারী দল।
এই মুহূর্তে পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিংহ মান। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, 'লুধিয়ানার গিয়াসপুরের কারখানায় গ্যাস লিকের ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক. পুলিশ, সরকার এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। সবরকমের সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। শীঘ্রই বিশদ তথ্য জানানো হবে'।
এই ঘটনায় রবিবার সকালে প্রথমে ন'জনের মৃত্যুর খবর মেলে। পরে মৃত্যুসংখ্যা বেড়ে হয় ১১। লুধিয়ানা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার সুরভি মালিক বলেন, "এখনও পর্যন্ত ১১ জবের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিষাক্ত গ্যাস লিক করেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ম্যানহোলের মিথেনেরর সঙ্গে রাসায়নিক মিশেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে এখনও পর্যন্ত অনুমান করা হচ্ছে। সবদিক খতিয়ে দেখছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।" এলাকার বাসিন্দাদের আপাতত নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।