ভোপাল: মধুচন্দ্রিমায় স্বামীকে খুনের অভিযোগ সোনম রঘুবংশীর বিরুদ্ধে। প্রেমিকের সঙ্গে ষড় করে, ভাড়াটে খুনি নিয়োগের কথাও সামনে এসেছে। এই গোটা ঘটনায় এবার মুখ খুললেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব। মধ্যপ্রদেশেরই বাসিন্দা রাজা রঘুবংশী, যাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় সোনমের। মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন মেঘালয়ে। মোহনের মতে, এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত সমাজের। ছেলেমেয়েদের অত দূরে পাঠানো উচিত নয় বলেও মত তাঁর। (Sonam Raghuwanshi News)
সংবাদ সংস্থা ANI-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেছেন মোহন। তাঁর বক্তব্য়, "সোনম রঘুবংশী এবং রাজা রঘুবংশীর যে ঘটনা, তা সমাজের জন্য শিক্ষনীয়। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত আমাদের। বিশেষ করে ছেলেমেয়ের মধ্য়ে বৈবাহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে...দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সবদিক খতিয়ে দেখা জরুরি। ছেলেমেয়েকে অত দূর পাঠানো নিয়েও ভাবনাচিন্তা জরুর। এই ঘটনায় অত্যন্ত আহত আমি। আমরা সকলে পেয়েছি। খুব দুঃখজনক ঘটনা।" (Mohan Yadav)
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে সেলফি তোলার অছিলায় উঁচু জায়গা থেকে ধাক্কা দিয়ে মেরে রাজাকে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল সোনমের, যাতে গোটা বিষয়টা দুর্ঘটনা বলে মনে হয়। কিন্তু কোনও কারণে সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি। পুলিশ সূত্রে দাবি, এর পরই সোনম তাঁর প্রেমিক রাজের তিন বন্ধুকে খুনের বরাত দেন।
সূত্রের খবর, বিয়ের দিনই সোনমের প্রমিক রাজ, রাজাকে শিলং নিয়ে যেতে বলেছিলেন। ঠিক হয়েছিল শিলংয়েই খুন করা হবে রাজাকে। এখানেই শেষ নয়, সূত্রের দাবি, খুনের পর নেপালে পালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সোনম।
উত্তরপ্রদেশ থেকে ধৃত সোনমকে ট্রানজিট রিমান্ডে মেঘালয় নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। সেখানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সোনমের প্রেমিক-সহ বাকি ধৃতদেরও। সোনমের মেডিক্য়াল টেস্টের পর আজই আদালতে পেশ করা হবে তাঁকে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ করবে SIT। পুলিশ সূত্রে খবর, হত্য়াকাণ্ড সংক্রান্ত আরও তথ্য় জানতে ঘটনার পুনঃনির্মাণ করতে পারেন তারা।
সোনম এবং তাঁর সঙ্গী রাজের বিরুদ্ধে হাওয়ালা ব্য়বসার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগও উঠছে। রাজের ফোন থেকে কোটি কোটি টাকার হাওয়ালা কারবার সংক্রান্ত লেনদেনের তথ্য মিলেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই সংক্রান্ত লেনদেনে সোনমের ব্য়াঙ্ক অ্য়াকাউন্টও ব্য়বহার করা হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, রাজ পিথমপুরের এক হাওলা ডিলারের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন, যা খুনের আগে তার তিন বন্ধুর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। পুলিশের অনুমান, এই টাকা সম্ভবত খুনের সময় ব্যবহার করা হয়েছিল।