গ্বালিয়র : নতুন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফিরতে শুরু করেছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। শ্রমিকবাহী এরকমই একটি বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়ল মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রে। দুর্ঘটনায় মৃত ৩ পরিযায়ী শ্রমিক। আহত হয়েছেন কমপক্ষে আটজন।


সংক্রমণ ঠেকাতে গতকালই ছয়দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই পরিস্থিতিতে জীবন-জীবিকায় সংকট দেখা দিতে পারে, এই আশঙ্কার ঘরমুখী পরিযায়ী শ্রমিকরা। 


আজ একটি বাসে দিল্লি থেকে মধ্যপ্রদেশের টিকমগড় ও ছতরপুরে ফিরছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। বাসটি ৫২ আসন বিশিষ্ট হলেও তাতে ৯০ জন যাত্রী উঠেছিলেন। এর পাশাপাশি বাসে নিজেদের ব্যাগপত্রও তুলে নেন শ্রমিকরা। সম্ভবত ওভারলোডেড হয়ে গিয়ে বাসটি গ্বালিয়র হাইওয়েতে জোরাসির কাছে উলটে যায় বলে মনে করা হচ্ছে। দুর্ঘটনায় তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে আটজন।


করোনার প্রথম দফায় পরিযায়ী শ্রমিকদের দুঃখ-দুর্দশার ছবি দেখেছে গোটা দেশ। প্রাথমিকভাবে সেই পরিস্থিত কটিয়ে অনেকেই ভিন রাজ্যে কাজের জন্য ফিরে গিয়েছিলেন। কিন্তু, নতুন করে আরও সংক্রমণ শক্তি নিয়ে ফিরেছে করোনা। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ ঠেকাতে আস্তে আস্তে অনেক রাজ্য বিভিন্ন কড়াকড়ির দিকে যাচ্ছে। আগেরবারের মতোই জীবিকা হারিয়ে ক্ষুধার্ত থাকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে। পাশাপাশি বাড়ি ফিরতেও অনেককে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল গতবার। অনেকের ফেরার পথে মৃত্যু হয়। এই পরিস্থিতিতে নিজের পরিবারের কাছে ফিরে যেতে মরিয়া পরিযায়ী শ্রমিকরা। 


দিনকয়েক আগেই দেখা গিয়েছে মহারাষ্ট্র থেকে বহু শ্রমিক মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে ফিরছেন। পরিবার এবং ঘরোয়া সামগ্রী নিয়ে যেতে অনেকে অটোরিকশও ব্যবহার করছেন। খাদ্যাভাব দেখা দিতে পারে, এই আশঙ্কায় রাজস্থানের যোধপুর থেকে প্রায় ২২ জন শ্রমিককে উজ্জৈয়নে নিজেদের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিতে দেখা গিয়েছে। এজন্য তাঁদের প্রায় ৭০০ কিলোমিটার হাঁটতে হবে। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা নিজেদের সঙ্গে চারদিনের সামগ্রী নিজেদের মাথায় চাপিয়ে নিয়েছেন।