ভোপাল: মাত্র সাত বছরেই ঐশ্বর্যের শিখরে! মধ্যপ্রদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অফিসের একজন কনস্টেবলের থেকে প্রাপ্ত সম্পদ দেখে চক্ষু চড়কগাছ আয়কর দফতরের। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মেন্ডোরির জঙ্গলে তল্লাশি চালায় আয়কর বিভাগ। সেখানে নজরে আসে পরিত্যক্ত গাড়ি। সেখানেই নজরে আসে কোটি টাকার স্তূপ। বাজেয়াপ্ত করা হয় ৫২ কেজি সোনা। যার বাজারমূল্য প্রায় ৪০ কোটি টাকা।
পুলিশ সূত্রে খবর, পরিত্যক্ত গাড়িটি গোয়ালিয়রের বাসিন্দা চেতন গৌড় এবং তাঁর সঙ্গী সৌরভ শর্মা। যিনি আরটিও অফিসের কনস্টেবলও ছিলেন। সৌরভ এবং বেশ কয়েকজন প্রোমোটার ইতিমধ্যেই তদন্তের আওতায় রয়েছেন। লোকায়ুক্ত দল বৃহস্পতিবার ভোপালের আরেরা কলোনিতে সৌরভের বাড়িতে হানা দেয়। অভিযানে কর্মকর্তারা এক কোটিরও বেশি নগদ, সোনাদানা এবং সম্পত্তির কাগজপত্র খুঁজে পেয়েছেন। এই সবের সঙ্গেই জড়িত সৌরভ এমনটাই জানান হয় আধিকারিকদের তরফে।
এক অফিসার জানান যে, ২০১৬ সালে বাবার মৃত্যুর পর পরিবহণ বিভাগে যোগদান করেন সৌরভ শর্মা। প্রাথমিকভাবে গোয়ালিয়রে পোস্টিং পরে। এরপর কর্মজীবনে যেন দৌড়। ২০২০ সালের মধ্যে সে রাজ্যের একাধিক চেকপয়েন্টের "নিয়ন্ত্রণ অর্জন করেন' তিনি। এরপর ২০২৩ এ আচমকাই পরিবহণ বিভাগ থেকে স্বেচ্ছা অবসর (ভিআরএস) নিয়েছিলেন তিনি। রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়য যুক্ত হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।
পরবর্তীতে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলা থেকে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। নজরে আসে আয়কর দফতরেরও। লোকায়ুক্ত পুলিশ ও আয়কর দপ্তরের যৌথ অভিযানে এরপর ধরা পড়ে সম্পত্তির পরিমাণ। এখনও পর্যন্ত যে পরিমাণ সোনা-রূপো উদ্ধার হয়েছে বিশেষজ্ঞদের মতে, এত পরিমাণ সোনা সাধারণত কোনও সংগঠিত অপরাধমূলক কার্যক্রম বা বড় চোরাচালানের অংশ হতে পারে।
উদ্ধার হওয়া সোনা ও নগদ টাকা আপাতত আয়কর দফতরের হেফাজতে রাখা হয়। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে গাড়ি এবং উদ্ধার হওয়া জিনিসপত্র পরীক্ষা করা হয়। গোটা ঘটনা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ও কৌতূহল তুঙ্গে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে