প্রয়াগরাজ : কুম্ভে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেছে । কিন্তু মহাকুম্ভে পুণ্যার্জনের অভীপ্সায় মানুষের সমাগম যেন বেড়েছে চলেছে। শিবরাত্রি অবধি চলবে পুণ্যস্নান। মহাকুম্ভের মেলা। তাই যত দিন এগোচ্ছে ভিড় বাড়ছে প্রয়াগরাজে। এরই মধ্যে প্রয়াগরাজে স্নান করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এর আগে কুম্ভস্নান করেছেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ একাধিক রাজনৈতিক নেতা ব্যক্তিত্ব। 


সঙ্গমে পৌঁছতে ১২ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে এগোতে হচ্ছে পুণ্যার্থীদের। আর এখন প্রয়াগরাজগামী রুটে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার শুধু গাড়ি আর গাড়ি। এগোনোর জায়গা নেই। দীর্ঘ যানজটের কারণে মহাসড়কে আটকা পড়েছেন মহাকুম্ভে আসা হাজার হাজার ভক্ত।


কেউ কেউ আবার দাবি করছেন,  যানবাহনের সারি ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ। অর্থাৎ ৩০০ কিলোমিটারের যানজট পেরিয়ে তবেই প্রয়াগরাজে পৌঁছানো যাচ্ছে। যানজট নিয়ন্ত্রণে অসুবিধা হচ্ছে বলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে  মধ্যপ্রদেশের বেশ কয়েকটি রুটে যান চলাচল। পুলিশকর্মীদেরই দাবি,২০০-৩০০ কিলোমিটার যানজট রয়েছে। এখনও অবধি ৪১ কোটি মানুষ মহাকুম্ভে গঙ্গায় ডুব দিয়েছেন। তবু ভিড়ের কমতি নেই। আবার কারও দাবি, কোনও কোনও গাড়িকে  ৪৮ ঘন্টা ধরে আটকে থাকতে হচ্ছে। মাত্র ৫০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে প্রায় ১০-১২ ঘন্টা সময় লাগছে।  


ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাত্রীবাহি গাড়ি , বাস এখন কুম্ভমুখী। বারাণসী, লখনউ এবং কানপুর থেকে প্রয়াগরাজের রুটে ২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট হচ্ছে।  শহরের ভেতরেও প্রায় সাত কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট । এত ভিড় সামলাতে  প্রয়াগরাজ সঙ্গম রেলওয়ে স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । কারণ প্রয়াগরাজ সঙ্গম স্টেশনের বাইরেও প্রচণ্ড ভিড়ের জন্য যাত্রীরা স্টেশন থেকেই বের হতে পারছেন না।  উত্তর মধ্য রেলওয়ে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রয়াগরাজ জংশন স্টেশনে একমুখী ট্র্যাফিক ব্যবস্থা চালু করেছে। 


এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নিশানা করেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব । তাঁর দাবি , প্রয়াগরাজের যানজটের জন্য শহরে অতি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছতে পারছে না, জরুরি পণ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।