নয়াদিল্লি: মসনদ বদলের সঙ্গে চিড় ধরেছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। সেই আবহেই ভারতকে কটাক্ষ মলদ্বীপের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফর নিয়ে কটাক্ষ সেদেশের সেনেটরের। পর্যটন ব্যবসায় মলদ্বীপকে কখনও ভারত টেক্কা দিতে পারবে না বলে মন্তব্য করলেন তিনি। সম্প্রতি লাক্ষাদ্বীপে গিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ছবি পোস্ট করেন মোদি। বেড়ানোর তালিকায় লাক্ষাদ্বীপকে যুক্ত করতে আহ্বান জানান। তার পরই মলদ্বীপের তরফে কটাক্ষ উড়ে এল। (India Maldives Ties)
সম্প্রতি লাক্ষাদ্বীপ সফরে গিয়েছিলেন মোদি। সেখান থেকে একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করেন তিনি। সমুদ্রসৈকতে প্রাতর্ভর্মণ থেকে জলে নেমে স্নরকেলিং, বিভিন্ন মুহূর্ত তুলে ধরেন সকলের সামনে। লাক্ষাদ্বীপের পর্যটনে জোয়ার আনতেই এমন পদক্ষেপ বলে জানা যায়। এর পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খোলেন মলদ্বীপের সেনেটর, প্রগ্রেসিভ পার্টি অফ মলদ্বীপের নেতা জাহিদ রামিজ। (Modi in Lakshadweep)
লাক্ষাদ্বীপে কাটানো মোদির বিভিন্ন মুহূর্ত নিয়ে তৈরি একটি ভিডিও-তে মন্তব্য করতে গিয়ে লেখেন, 'ভাল পদক্ষেপ। কিন্তু আমাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার কথা মনে আনা বিভ্রম। ওঁরা আমাদের মতো পরিষেবা দেবে কী করে? আমাদের মতো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা আনবে কী করে? Iঘর থেকে যে চিরকালীন দুর্গন্ধ বের হয়, তা-ই সবচেয়ে বড় বিপর্যয় ডেকে আনবে'। জাহিদের এই মন্তব্য ঘিরেই বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
দীর্ঘ দিন পরস্পরের বন্ধু থাকলেও, বিগত কয়েক মাসে মলদ্বীপ এবং ভারতের সম্পর্কে চিড় দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে মহম্মদ মুইজ্জু দেশের প্রেসিডেন্ড নির্বাচিত হওয়ার পর ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছে মলদ্বীপ। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মুইজ্জু। ক্ষমতায় এলে মলদ্বীপে মোতায়েন ভারতীয় সেনাকে ফেরত পাঠাবেন বলে আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। সেই মতো দায়িত্ব হাতে নিয়েই ভারতকে সেনা প্রত্যাহার করতে বলা হয় মলদ্বীপের তরফে।
একদিকে, ভারতের সঙ্গে যেখানে দূরত্ব বাড়িয়েছে মলদ্বীপ, চিনের সঙ্গে সম্পর্ক জুড়তে দেখা গিয়েছে তাদের। আগামী কাল চিন সফরেও যাচ্ছেন মুইজ্জু। চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়ংবিন জানিয়েছেন, চিন এবং মলদ্বীপের বন্ধুত্ব দীর্ঘমেয়াদি। গত ৫২ বছরে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে। পরস্পরকে সম্মান করে দুই দেশ। তাই পরস্পরের স্বার্থ মাথায় রেখেই আগামী দিনে এগনো হবে।