আগামীকাল এ নিয়ে বৈঠক ডেকেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই বৈঠকে কেন্দ্রের জন বিরোধী কাজকর্ম নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন মমতা। এদিন তিনি লিখেছেন শুক্রবার ৪ ডিসেম্বর বৈঠক ডেকেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ওই বৈঠকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য় নিয়ে আইন কীভাবে সাধারণ মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলছে তা নিয়ে আলোচনা হবে। যার ফলে দ্রুত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে। কেন্দ্রকে জনবিরোধী আইন প্রত্যাহার করতে হবে।
একইসঙ্গে বেসরকারিকরণ নিয়েও কেন্দ্রকে তোপ দেগেছেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, একের পর এক সরকারি ক্ষেত্রকে বেসরকারি হাতে তুলে দিচ্ছে কেন্দ্র। সেই তালিকায় আছে রেল, এয়ার ইন্ডিয়া থেকে ব্যাঙ্ক। এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার সব বিক্রি করে দিচ্ছে। রেল, এয়ার ইন্ডিয়া, কোল, বিএসএনএল, ভেল, ব্যাঙ্ক, প্রতিরক্ষার মতো ক্ষেত্র বিক্রি করে দিতে পারে না ওরা। বেসরকারিকরণের নীতি প্রত্যাহার করতে হবে। আমাদের দেশের সম্পত্তি বিজেপির ব্যক্তিগত সম্পত্তি হতে দিতে পারি না।
এদিকে কৃষি বিল নিয়ে মতভেদ তৈরি হয়েছে একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে। বিজেপি শাসিত রাজ্য়েগুলি এই আন্দোলনকে কটাক্ষ করে চলেছে। আন্দোলনে চিন ও পাকিস্তানি যোগ রয়েছে বলে দাবি করলেন বিজেপি-শাসিত হরিয়ানার কৃষিমন্ত্রী জেপি দালাল। অন্যদিকে এদিন ১০টা নাগাদ কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহ। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের কাছে নূন্যতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করার কৃষকদের দাবিই তুলেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন কৃষকরা। রাজধানীর তীব্র ঠান্ডায় পথেই রয়েছেন হাজার হাজার কৃষক। আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় অবস্থান নিয়ে দিল্লি ঘেরাও অভিযান চালাচ্ছেন তাঁরা। আজ বৃহস্পতিবার অষ্টম দিনে পা দিল কৃষকদের আন্দোলন। দিল্লি ঘেরাও করে গত সপ্তাহ থেকে কৃষক সংগঠনগুলি জাতীয় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি করছে। তার জেরে হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ থেকে দিল্লিতে ঢোকার একাধিক রাস্তা অবরুদ্ধ। বন্ধ করা হয়েছে দুটি সীমানা। এই চাপানউতোরের মাঝেই এদিন ফের কৃষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে কেন্দ্র। চতুর্থ দফার বৈঠকের দিকে এখন তাকিয়ে গোটা দেশ।