নয়াদিল্লি: দেশের ২৮তম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিলেন মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। তিনি বললেন, 'পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বিভিন্ন লঞ্চপ্যাডে সন্ত্রাসবাদীরা সীমান্ত পেরোবার অপেক্ষায় আছে, কিন্তু তাদের মোকাবিলা করতে আমরাও তৈরি।' নারাভানের দাবি, উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারার অবলুপ্তির পর পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে বিদায়ী ‘গার্ড অফ অনার' দেওয়া হয় বিপিন রাওয়াতকে। দেশের প্রথম ‘চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ’ হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন বিপিন। তাঁর জায়গায় এলেন মুকুন্দ নারাভানে।
এদিন বিদায় সম্বর্ধনার পরে বিপিন রাওয়াত বলেন, ‘সেনাপ্রধানের পদে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে আদর্শ। আমি জানি উনি দেশের প্রতিরক্ষাকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যাবেন।’
এর আগে দিল্লিতে ‘ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল’-এ গিয়ে নিহত সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর জেনারেল বিপিন রাওয়ত সাংবাদিকদের বলেন, ‘চিফ অফ আর্মি স্টাফের অনেক দায়িত্ব, কর্তব্য থাকে। নতুন সেনাপ্রধানের হাতে সেই সব দায়িত্ব তুলে দিয়ে আমি নতুন দায়িত্ব নেব। সেই দায়িত্ব নেওয়ার পরেই আমি ভাবব, কী কী করব। কী কৌশল নেব।’



গত সেপ্টেম্বরেই সেনার উপপ্রধানের দায়িত্বে আসেন জেনারেল নারাভানে। তার আগে তিনি সেনার পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান ছিলেন।১৯৮৭ সালে ‘অপারেশন পবন’-এর সময় শ্রীলঙ্কায় ভারতীয় পিস কিপিং ফোর্সের সদস্য ছিলেন তিনি। পরম বিশিষ্ট সেবা মেডেল ও অতি বিশিষ্ট সেবা মেডেলে সম্মানিত হন তিনি।
দীর্ঘ ৩৭ বছরের কর্মজীবনে জেনারেল নারাভানে অনেক কঠিন দায়িত্ব সামলেছেন। এর আগে চিনের সীমান্তে ভারতের ৪,০০০ কিমি এলাকার দেখভাল করার দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর মাথায় উপরে ছিলেন তিনি। দায়িত্বে ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীর এবং উত্তর-পূর্বে বিদ্রোহের পরিবেশে দায়িত্বপূর্ণ ভাবে শান্তি ফেরানোর প্রক্রিয়ায়।
পুণের বাসিন্দা মনোজ মুকুন্দ নারাভানে ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি ও ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমির প্রাক্তন ছাত্র। চেন্নাইয়ের মাদ্রাজ ইউনিভার্সিটি থেকে ডিফেন্স স্টাডিজে স্নাতকোত্তর করেন। পরবর্তীকালে ইনদৌরের দেবী অহিল্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিফেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজে এমফিল করেন।