নয়াদিল্লি : রাজধানীর বুকে ফের কৃষক আন্দোলন। মেগা আন্দোলনের আগে একাধিক পয়েন্টে রাস্তায় ডাইভারসন করা হয়েছে। যার জেরে রাস্তায় গাড়ির লম্বা লাইন। কার্যত থমকে যান চলাচল। গাজিয়াবাদ ও চিল্লা সীমানায় হাইওয়েতে আটকে একের পর এক গাড়ি। এই রাস্তা গাজিয়াবাদ ও উত্তর প্রদেশের নয়ডার সঙ্গে দিল্লিকে সংযুক্ত করেছে। আন্দোলনকারী কৃষকদের দিল্লিতে ঢোকা ঠেকাতে গাজিপুর, সিঙ্ঘু ও টিকরির সীমানায় কার্যত 'দুর্গ' গড়ে তোলা হয়েছে। দিল্লির সীমানা হয়ে যাতে ট্রাক্টর বা ট্রলি ঢুকতে না পারে তার জন্য হাইওয়েতে কংক্রিকেট ব্লক রাখা হয়েছে। দেওয়া হচ্ছে ব্যারিকেড। রাখা হয়েছে কাঁটা তার ও পেরেক।


গত রাতে সরকারি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনায় বসেন কৃষকরা। কিন্তু, তাঁদের তিন দফা দাবির কোনও সমাধান বেরোয়নি। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য আইন-সহ বিভিন্ন দাবি রয়েছে তাঁদের। কেন্দ্রের তরফে প্রতিনিধিদলে ছিলেন খাদ্য ও ক্রেতা সুরক্ষামন্ত্রী পীষূষ গয়াল ও কৃষিমন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডা। রাত ১১টা পর্যন্ত আলোচনার পর উভয় পক্ষ কয়েকটি বিষয়ে সহমত হয়। তার মধ্যে রয়েছে- বিদ্যুৎ আইন ২০২০, লখিমপুর খেরিতে নিহত কৃষকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও কৃষক আন্দোলন চলাকালীন কৃষকদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা করা হয়েছে সেইসব আন্দোলন প্রত্যাহারে রাজি হয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু, কৃষকদের তিনটি মূল দাবি -সব শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, কৃষকদের ঋণ মকুব ও স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ মানার দাবি নিয়ে কোনও ঐক্যমত গড়ে ওঠেনি। 


এই পরিস্থিতিতে উভয়পক্ষের আলোচনা শেষ হওয়ার পর কিষান মজদুর সংঘর্ষ কমিটির শরণ সিং পান্ধার ঘোষণা করেন, দিল্লি চলো মিছিল শুরু। কৃষকদের এক প্রতিনিধি সাংবাদিকদের বলেন, "দুই বছর আগে সরকার লিখিতভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, আমাদের দাবির অর্ধেক মেনে নেবে। আমরা সেই সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। কিন্তু, সরকার সচেতন নয়। ওরা শুধু সময় নষ্ট করতে চায়।"  


এমন একটা মুহূর্তে কৃষকদের আন্দোলন ঠেকাতে প্রশাসনের তরফে গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে মালবাহী গাড়ির দিল্লিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শেষ গাইডলাইনে এই লাইনে নির্দেশিকা জারি করেছে দিল্লি পুলিশ। এর পাশাপাশি হরিয়ানার সিরসা ও উত্তরপ্রদেশে পরিচক হয়ে সুরজপুরে মালবাহী গাড়ি যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হয়নি। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।