নয়া দিল্লি: হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, চৈত্র শুক্লপক্ষের প্রথম থেকে নবমী পর্যন্ত চৈত্রীয় নবরাত্রি উৎসব পালিত হয়। সনাতন ধর্মে এই উৎসবের বিশেষ গুরুত্ব বলা হয়েছে। এই নয় দিন, মা দুর্গার নয়টি রূপের পূজা করা হয়, যার সূচনা হয় ঘট প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। অন্যদিকে, এই নবরাত্রি উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ ভক্তরা ছুটে আসেন বৈষ্ণোদেবীতেও।
এই মন্দিরটি বিশ্বে সবচেয়ে পবিত্রতম স্থান হিসাবেও পরিচিত। চৈত্র নবরাত্রির আগে জম্মু কাশ্মীরের এর লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা কাটরার বৈষ্ণোদেবী ভবনে ৫ তলা দুর্গা ভবনের উদ্বোধন করেছেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, বৈষ্ণোদেবী দর্শনার্থীদের জন্য এটি খুবই উপকৃত হবে।
এএনআই-এর রিপোর্ট অনুসারে, আগামী দিনে শ্রী মাতা বৈষ্ণো দেবী ভবন এবং নতুন দুর্গা ভবনে সুবিধাগুলি বাড়ানো হবে, মনোজ সিনহা বলেছেন।
গত বছর, প্রায় ৯২ লক্ষ ভক্ত কাটরায় শ্রী মাতা বৈষ্ণো দেবী মন্দিরে এসেছিলেন। ২০১৩ সালে অনলাইন যাত্রা সুবিধা শুরু হওয়ার পর থেকে এটি সর্বোচ্চ সংখ্যা।
ধর্ম পুরাণে, মা দুর্গাকে বিশ্বজগতের সর্বশক্তিমান নারী হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে, যাকে শক্তিরূপে পূজিত করা হয়। চৈত্র নবরাত্রিতে উপবাস ও পূজার আচার অঢেল সম্পদ এবং সৌভাগ্য নিয়ে আসে। কিন্তু যেহেতু এই উপবাস এবং আচার দুটোই সহজ নয়, তাই ভক্তদের নবরাত্রির সমস্ত নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলতে হয়।
কেউ কেউ নবরাত্রির প্রথম ও শেষ দিনে উপবাস করেন আবার কেউ কেউ নয় দিন উপবাস করেন, যে বাড়িতে ঘট স্থাপনা রাখা হয় সেখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, নিয়মানুবর্তিতা, কঠোর উপবাস, ব্রহ্মচর্য ইত্যাদি পালন করা প্রয়োজন। জ্যোতিষীদের মতে, এবার নবরাত্রিতে কিছু গ্রহ-নক্ষত্রের বিরল মিলনের কারণে এর মাহাত্ম্য বহুগুণ বেড়ে যাবে। এই বছর চৈত্র নবরাত্রি শুরু হচ্ছে বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩ থেকে। আসুন জেনে নিই চৈত্র নবরাত্রির মাহাত্ম্য, পূজা পদ্ধতি, মুহুর্ত এবং ঘট স্থাপন পদ্ধতি ইত্যাদি।