সমীরণ পাল ও আব্দুল ওয়াহাব, উত্তর ২৪ পরগনা: আতঙ্কের নাম নোভেল করোনা ভাইরাস। ভারতেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই অবস্থায় বাংলায় সংক্রমণ ঠেকাতে তৎপর রাজ্য সরকার। করোনা সংক্রমণ নিয়ে কেউ যাতে ভারতে ঢুকতে না পারে তার জন্য সীমান্তে শুরু হয়েছে বিশেষ নজরদারি। বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্তে অভিবাসন দফতরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিশেষ ক্যাম্প খুলেছে স্বাস্থ্য দফতর।


ঘোজাডাঙা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ভারতে আসেন। সীমান্তে ওই ক্যাম্পে তাঁদেরকে বিশেষভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। পরীক্ষা করিয়েছেন, এমন এক বাংলাদেশি নাগরিক শামিমা পারভিন বলেছেন, করোনা সংক্রমণ সম্পর্কে শুনেছি। সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক ব্যবহার করছি। বাংলাদেশের সীমান্তেও অন্য দেশের লোক ঢুকতে গেলে এই ধরনের পরীক্ষা করা হচ্ছে। এখানেও এসে সেটা দেখলাম।
অভিবাসন দফতর সূত্রে খবর, গত ১৫-২০ দিনের মধ্যে করোনা সংক্রমিত কোনও দেশে কেউ গিয়েছিলেন কি না, তা জানতে খতিয়ে দেখা হচ্ছে পাসপোর্ট। কোনও যাত্রী ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত কি না, তাও পরীক্ষা করা হচ্ছে। জ্বরে আক্রান্ত হলে যাত্রীদের শারীরিক পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। চিকিৎসকদের ছাড়পত্র পেলে তবেই মিলছে ভারতে ঢোকার অনুমতি। অভিবাসন দফতরের সুপারিন্টেডেন্ট নিতাইলাল মণ্ডল জানিয়েছেন, সমস্ত যাত্রীর শারীরিক অবস্থা দেখা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে পাসপোর্ট। করোনা সংক্রামিত কোনও দেশে গিয়েছেন কিনা সেটা দেখা হচ্ছে। বসিরহাট জেলা স্বাস্থ্য সিএমওএইচ দেবব্রত মুখোপাধ্যায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। সীমান্তে নজরদারি চলছে। সংক্রমিত রোগী যাতে দেশে ঢুকতে না পারে, সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন স্বাস্থ্য দফতরকে রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ঘোজাডাঙা সীমান্তে ২ জন চিকিৎসককে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা প্রতি মূহূর্তে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন।