মার্কোভিচ বলেছেন, এই ভয়ঙ্কর জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয় পাওয়া গিয়েছে, মন্টেনেগ্রো ইউরোপের প্রথম করোনামুক্ত দেশ। সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই মুখ থেকে মাস্ক খুলে ফেলেন তিনি।
মন্টেনেগ্রোয় ৩২৪ জন করোনা পজিটিভ ও এই রোগে মারা গিয়েছেন ৯ জন। বলকান এই প্রজাতন্ত্রে মাত্র ৬২০,০০০ মানুষের বাস। অর্থনীতি নির্ভরশীল আড্রিয়াটিক সমুদ্রের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা পর্যটন শিল্পের ওপর। ফলে করোনা থেকে মুক্ত হওয়া পর্যটনের পক্ষেও অত্যন্ত জরুরি ছিল। সংক্রমণ রুখতে মার্চের শুরুতে মন্টেনেগ্রো তাদের যাবতীয় সীমান্ত, বিমানবন্দর ও সমুদ্র বন্দর বন্ধ করে দেয়। বন্ধ করে স্কুল, জনগণের অনুষ্ঠান, সমস্ত বাইরের কাজকর্ম।
এরপর ৩০ মার্চ থেকে ধীরে ধীরে কড়াকড়ি কমতে থাকে। মার্কোভিচ জানিয়েছেন, তাঁর দেশ সেই সব দেশের সঙ্গে নিজের সীমান্ত খুলে দেবে, যাদের ১০০,০০০ লোকে করোনা রোগীর সংখ্যা ২৫ জনের বেশি নয় যেমন ক্রোয়েশিয়া, আলবানিয়া, স্লোভেনিয়া, জার্মানি ও গ্রিস। এই সব দেশ থেকে পর্যটকদের নিজেদের দেশে আসতেও দেবে তারা।
করোনা রুখতে তারা সেলফ আইসোলেশনে থাকা লোকজনের নাম ঠিকানা প্রকাশ করে দেয়, যা মানবাধিকার সংস্থাগুলির সমালোচনা কুড়িয়েছিল। একটি পুরসভায় সপ্তাহের পর সপ্তাহ লকডাউন চালানো হয়। কড়াকড়ি ও পরিচ্ছন্নতা সংক্রান্ত নিয়ম না মানায় শয়ে শয়ে লোককে জরিমানা করে স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, দিনের শেষে করোনা রুখতে তারা পুরোপুরি সফল হয়েছে।