মুম্বই: দেহব্যবসার সঙ্গে এবার নাম জড়াল বি-টাউনের। দিনকয়েক আগে এমন তথ্য হাতে পেয়েছে মুম্বই পুলিশ। মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের ৭ নম্বর ইউনিটের এই তথ্য জানতে পেরেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই কাজে মডেল পাশাপাশি জড়িত আছেন অভিনেতারাও। ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি দালাল হিসেবে কাজ করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।


ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডিসিপি আকবর পাঠান এবিপিকে জানিয়েছেন, মুম্বইয়ের পূর্ব শহরতলিতে কীভাবে দেহব্যবসা চলছে সে সম্পর্কে তথ্য পেয়েছিলেন তাঁরা। এই দেহব্যবসার সঙ্গে মডেল সহ অভিনেতারাও জড়িত। তাও জানান পুলিশ আধিকারিক।

মডেল এবং  অভিনেতাদের খোঁজ পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। ছদ্মবেশে ওই মহিলার সঙ্গে দেখা করেন এক পুলিশ আধিকারিক। ছদ্মবেশে থাকা ওই পুলিশ আধিকারিক জানান, গ্রাহক হতে চান তিনি। প্রাথমিকভাবে ওই মহিলা জানিয়ে দেন তিনি কোনওভাবেই সাহায্য করতে পারবেন না। কিন্তু কিছুদিন পরেই টাকা-পয়সা নিয়ে কথা বলতে থাকেন ওই মহিলা। ৫৫ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে ওই মহিলা জানান, তাঁর সঙ্গে বহু অভিনেতা এবং মডেলের যোগাযোগ আছে।

চুক্তি হওয়ার পর, ওই মহিলা জানায় তিনি একটি হোটেলে ৩ জনকে নিয়ে যাবেন। তার মধ্যে একজনকে বেছে নিতে হবে। ঘাটকোপার অঞ্চলে একটি হোটেল ভাড়া করে ৩ তরুণীকে নিয়ে যান তিনি।  পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ৩ তরুণীর মধ্যে একজন ভোজপুরি ছবির জনপ্রিয় অভিনেত্রী। বাকি ২ জন ছিলেন মডেল।

ঠিক সেই সময় ওই হোটেলে উপস্থিত হয় ক্রাইম ব্রাঞ্চের পুলিশ আধিকারিকরা। ওই হোটেলে তল্লাশি চালানো শুরু করেন তাঁরা। ৩ তরুণীকে উদ্ধার করেন পুলিশ আধিকারিকরা। দালাল মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

তবে এই পুরো র‌্যাকেটের মাস্টারমাইন্ড এখনও পলাতক বলে জানিয়েছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তাঁর খোঁজে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে ওই মহিলা বলেন, ৩০ শতাংশ কমিশন নিতেন তিনি।