সুনীলবাবু বলেছেন, আমার ভোটার আই কার্ডে অনেকগুলি ভুল থাকায় সংশোধনের আবেদন করেছিলাম। ভুল সংশোধনের পর যে ‘সঠিক’ কার্ড পেলাম, তাতে তথ্য ঠিকই আছে, কিন্তু আমার ছবি সরিয়ে বসানো হয়েছে কুকুরের মুখ! তাঁর মতে, ইচ্ছাকৃত এই ভুল, তাঁকে জনসমক্ষে হেয় করাই এর উদ্দেশ্য। তিনি বলেছেন, আমার কার্ড দেখে লোকে হাসি-ঠাট্টা করছে। নির্বাচন কমিশনকে আদালতে টেনে নিয়ে যাব।
এদিকে ভোটার পরিচয়পত্রে ভুল সংশোধন প্রক্রিয়ায় যুক্ত এক সরকারি কর্মী জানিয়েছেন, এই ত্রুটি আগেই চোখে পড়েছিল, কিন্তু কী করে সেটাই থেকে গেল, তা জানেন না। তিনি বলেছেন, খসড়া ভোটার তালিকা বেরনোর পর কুকুরের ছবিটা নজরে এসেছিল। কর্মকারবাবুর বাড়ি গিয়ে ওনার ছবি জোগাড় করে নিয়ে আসি। কিন্তু কী করে কুকুরের ছবি সহ ভোটার কার্ড ছেপে বেরিয়ে গেল, বুঝতে পারছি না।
কোনও কোনও মহলের ধারণা, ভবিষ্যতে কোনও এক সময় জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এনআরসি) তৈরির প্রক্রিয়া চালানো হতে পারে, এহেন জল্পনা, আশঙ্কের মধ্যেই রাজ্যব্যাপী যে আতঙ্ক, উত্কন্ঠার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার ফলেই হয়তো এমন ভুল। এক মুর্শিদাবাদেই ২২টি বিধানসভা এলাকায় গত কয়েক মাসে নতুন ভোটার কার্ড তৈরি সহ কার্ডের ভুল সংশোধনের অসংখ্য আবেদন জমা পড়েছে। আগেভাগে ঠিকঠাক ভোটার কার্ড হাতে পাওয়ার জন্য প্রশাসনের দপ্তরে প্রতিদিন হত্যে দিয়ে পড়ে থাকছে লোকজন। সরকারি কর্মীদের ছুটিছাটা বাতিল হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের খবর, সুনীলবাবুর ভোটার কার্ডে কুকুরের ছবি থাকা নিয়ে ফরাক্কার ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার রাজর্ষি চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তাঁকে হেয় করতে ইচ্ছে করেই এটা করা হয়েছে, সুনীলবাবুর এই অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। এপ্রিলেই তিনি নতুন কার্ড পাবেন। আর কার্ড তৈরির প্রক্রিয়ায় জড়িত সরকারি কর্মীদের শো কজ করা হয়েছে।