নয়াদিল্লি: বিজেপিতে যোগ দিলেন সিকিম ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের (এসডিএফ) ১০ বিধায়ক। এর ফলে, পবন কুমার চামলিংয়ের দলকে সরিয়ে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে এল গেরুয়া শিবির।
মঙ্গলবার, নয়াদিল্লিতে বিজেপি কার্যকরী সভাপতি জে পি নাড্ডা ও সাধারণ সম্পাদক রাম মাধবের সঙ্গে দেখা করে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন ওই ১০ জন বিধায়ক। প্রসঙ্গত, রাম মাধব হলেন উত্তর-পূর্ব বিষয়ক দলের ভারপ্রাপ্ত নেতা। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, সিকিম বিধানসভায় এসডিএফের ১৩ বিধায়ক ছিলেন। এখন, তাদের পরিষদীয় দল বিজেপির সঙ্গে মিশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যে কোথাও প্রধান দল হিসেবে তো কোথাও শরিক হিসেবে সরকারে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। ব্যতিক্রম ছিল সিকিম। এদিন ১০ বিধায়ক দলে যোগ দেওয়ায় এবার সেখানেও সরকার গড়ার দিকে একধাপ এগলো গেরুয়া শিবির। রাম মাধব জানিয়েছেন, আপাতত, রাজ্যে গঠনমূলক বিরোধিতা করবে বিজেপি।
সাধারণত, যদি কোনও দলের দুই-তৃতীয়াংশ বা তার অধিক সংখ্যক বিধায়ক অন্য দলে যোগ দেন, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে দলত্যাগী নিয়ম কার্যকর হয় না। পবন কুমার চামলিংয়ের নেতৃত্বাধীন এসডিএফ সিকিমে গত ২৫ বছর ধরে শাসন করেছে। যার জেরে দেশের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে খ্যাত হন চামলিং।
কিন্তু, গত বিধানসভা নির্বাচনে হেরে গিয়ে ক্ষমতাচ্যূত হন তিনি। ৩২ আসন-বিশিষ্ট বিধানসভায় তাঁর দল ১৫টি আসন জেতে। কিন্তু, চামলিং সহ দলের ২ বিধায়ক ২টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দুজনই জোড়া আসনে জেতেন। ফলত, বাড়তি আসনটি তাঁদের ছাড়তে হয়। যে কারণে দলের আসন সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১৩-তে। অন্যদিকে, সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চা (এসকেএম) জেতে ১৭টি আসন।
এর আগে, এনডিএ জোটে ছিল এসডিএফ। কিন্তু, এখন বিজেপি নেতৃত্বাধীন নর্থ-ইস্ট ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (এনইডিএ)-তে চামলিংয়ের দলকে সরিয়ে জায়গায় করে নিয়েছে এসকেএম।