উরি হামলার পর এবার প্রত্যাঘাত সেনার। উপত্যকায় জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখল নিরাপত্তাবাহিনী। উরি সেক্টরর লচ্ছীপোরায় এবং নওগাম সেক্টরে সেনাবাহিনীর গুলিতে ১০ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। লড়াইয়ে শহিদ হয়েছেন এক জওয়ানও। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্র। এখনও অন্তত ৭ সন্ত্রাসবাদী লুকিয়ে আছে, বলে আশঙ্কা সেনার।
সেনা মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রায় জনা ১৫ জঙ্গি উরি ও নওগাম সেক্টর দিয়ে নিয়ন্ত্রণরেখা টপকে ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করে। উরি কাণ্ডের পর এবার সতর্ক ছিল সেনাবাহিনী। সেনাদের দেখেই গভীর জঙ্গলের মধ্যে থেকে লুকিয়ে এলোপাথারি গুলিবর্ষণ শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। বিস্তর গুলির লড়াইয়ের পর খতম হয় ১০ জঙ্গি। এখনও গোটা এলাকায় চলছে চিরুনি তল্লাশি। সেনার দাবি, এখনও আরও জনা সাতেক জঙ্গি আত্মগোপন করে রয়েছে।
অন্যদিকে, উরি সেক্টরেই সংঘর্ষ চুক্তি লঙ্ঘন করে এদিন ভারতীয় ছাউনি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করে পাক সেনা। পাল্টা জবাব দেয় ভারত।
সেনা সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে উরি সেক্টরে সীমান্তের ওপার থেকে ভারতীয় সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে বিনা প্ররোচনায় গুলিবর্ষণ শুরু করে পাকিস্তানি সেনা।
যদিও, তাতে এদিকে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। সেনা সূত্রের খবর, গুলি চলে দুপুর একটা থেকে দেড়টার মধ্যে। পাক ফৌজের এই সংঘর্ষ-বিরতির নেপথ্যে জঙ্গি অনুপ্রবেশের লক্ষ্য থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিল সেনামহলের একাংশ।
কারণ, এর আগে একাধিকবার একইভাবে সংঘর্ষবিরতির আড়ালে এদেশে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করানোর অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।
সেনা গোয়েন্দাদের আশঙ্কা ছিল, উরি সেনা ছাউনিতে হামলাকারীদের পাশাপাশি, আরও জয়েশ জঙ্গি সম্ভবত এদেশে ঢুকে পড়েছে বা হয়ত ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছে।
তাই এবার আগে থেকে আরও সতর্ক ছিল সেনাবাহিনী। তাদের আশঙ্কা যে অমূলক নয়, এদিন তা প্রমাণিত হয়। উরি সেক্টর থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করে জঙ্গিরা। প্রস্তুত ছিল বাহিনীও।
প্রসঙ্গত, শনিবার গভীর রাতে উরি শহরের সেনা ব্রিগেড সদরে হামলা চালায় চার জয়েশ জঙ্গি। ওই ঘটনায় ১৮ জন জওয়ান শহিদ হন। আহত হন আরও ২০ জন। সেনার পাল্টা গুলিতে খতম হয় চার জঙ্গি।