পুনে: লেখাপড়ায় সোনার পদক পেতে পড়ুয়াকে মেধার পরিচয় তো রাখতে হবেই, পালন করতে হবে আরও দুটো শর্ত। তাঁকে নিরামিষ খেতে হবে, মদ ছোঁয়াও চলবে না। মহারাষ্ট্রের সাবিত্রীবাই ফুলে পুনে বিশ্ববিদ্যালয় বা এসপিপিইউ এমনই শর্ত দিয়েছে।


এই স্বর্ণ পদকের জন্য ২০১৬-১৭ শিক্ষা বর্ষে বিজ্ঞান ছাড়া অন্যান্য শাখার স্নাতকোত্তর স্তরের মেধাবী পড়ুয়াদের কাছ থেকে আবেদনপত্র চাওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, পদক পাওয়ার শর্ত হল, আবেদনকারীকে নিরামিশাষী হতে হবে, তাঁর মদের নেশা থাকলে চলবে না। আজ থেকে নয়, ২০০৬ থেকেই এই সার্কুলার কার্যকরী রয়েছে।

যদিও বিতর্ক ছড়ানোর পর নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, ১০ বছর পুরনো এই সার্কুলারে স্বর্ণ পদক পাওয়ার শর্ত বিশ্ববিদ্যালয় ঠিক করেনি, যে ট্রাস্ট এই পদক দিচ্ছে, তারাই এ সব শর্ত দিয়েছে।

এই পদক দেয় যোগ মহাঋষি শেলারমামার নামাঙ্কিত ট্রাস্ট। আমিষ ও মদ খাওয়ায় নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি পদক পেতে আরও কিছু শর্ত রয়েছে তাদের। সেগুলো হল, যিনি পদক পাবেন তাঁর ভারতীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে, সেই সংস্কৃতি প্রতিদিনের জীবনে পালন করতে হবে তাঁকে। যে পড়ুয়ারা যোগ ও প্রাণায়াম অভ্যাস করেন তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, ১০ বছর ধরেই প্রতিবার বিষয়ে কোনও পরিবর্তন না এনে একই সার্কুলার প্রকাশ করে চলেছে তারা।

যদিও এ ব্যাপারে জানাজানি হওয়ার পর নানা মহলে সমালোচনার মুখে পড়েছে পুনে বিশ্ববিদ্যালয়। অনেকেই বলছেন, বহু সরকারি হোস্টেলে ছাত্রছাত্রীদের আমিষ খেতে দেওয়া হয়, মিডডে মিলে তো নিয়মিত ডিম খায়  পড়ুয়ারা। শিক্ষা দফতর যেখানে ছাত্রছাত্রীদের আমিষ খেতে দিচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় আবার তাদের বলছে, মাছ মাংস নয়, নিরামিষ খাও। এ বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট নীতি প্রণয়নের দাবি করেছে তারা।