স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে ওই পাহাড়ি রাস্তায় মাওবাদীদের আনাগোনা নজরে পড়ে তাঁদের। তাঁরা শনিবার এলাকায় গিয়ে দেখেন, মূর্তিটি উধাও। খবর পেয়েই ছুটে আসে পুলিশ, প্রশাসনের টিম। দান্তেওয়াড়ার পুলিশ সুপার কামলোচন কাশ্যপ, কালেক্টর সৌরভ কুমারও সেখানে যান। অনুসন্ধান করে নজরে পড়ে, ভাঙাচোরা মূর্তিটি পাহাড়ের মাথা থেকে প্রায় হাজার ফুট নীচে পড়ে আছে। কাশ্যপ বলেন, তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশের ধারণা, গণেশ মূর্তির টানে ওখানে বাইরের লোকের আনাগোনায় বিপদের আশঙ্কা করছিল মাওবাদীরা, পাছে তাদের গতিবিধি কেউ টের পেয়ে যায়! ইনফর্মাররাও এমনই জানিয়েছিল। তাই ওখানে যাতে দর্শনার্থী, পর্যটকরা আর না-ই আসে, সেজন্যই তারা মূর্তিটা ভেঙেছে।
৪ ফুটের মূর্তিটি চুরি করার চেষ্টা হয়েছিল, এমন ধারণা খারিজ করে দিয়েছে পুলিশ।
দান্তেওয়াড়ার ফরাসপোল থানা থেকে ১৪ কিমি দূরে গভীর জঙ্গল থেকে ওই পর্বতশ্রেণির শুরু। রায়পুর থেকে ৪৫০ কিমি দূরে। কোনও যানবাহনের পথ নেই। পায়ে হেঁটেই যেতে হয়।
ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ছত্তিশগড়ের পর্যটন দপ্তরও।