চেন্নাই: সিবিআই হেফাজত থেকে উধাও হয়ে গেল বাজেয়াপ্ত করা ১০৩ কেজি সোনা। খোয়া যাওয়া সোনার বাজার মূল্য প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। তামিলনাড়ু পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট।
২০১২ সালে সুরানা কর্পোরেশন লিমিটেডের অফিসে তল্লাশি চালানোর সময় ৪০০.৪৭ কেজি সোনার বার ও গয়না বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই।
ওই সংস্থার অফিসের আলমারির লকারে সেই সোনা রেখে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই জানিয়েছে, ৭২টি চাবি জমা দেওয়া হয়েছিল চেন্নাইয়ের প্রিন্সিপাল স্পেশাল কোর্টে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কী করে সোনা উধাও হয়ে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এ ঘটনার তদন্তভার তামিলনাড়ু পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও সিআইডিকে দিয়েছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কোনও অফিসারের নেতৃত্বে আগামী ৬ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রাজ্য পুলিশের হাতে তদন্তভার দেওয়ার সিবিআইয়ের মর্যাদাহানি হবে বলেও জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থা। কিন্তু আদালত তা মানতে চায়নি। বিচারপতি পি এন প্রকাশ বলেছেন, সব পুলিশকে বিশ্বাস করতে হবে।
বিচারপতি তাঁর নির্দেশে বলেন, সিবিআইয়ের বিশেষ ধরনের শিঙ আছে আর পুলিশের শুধু লেজ আছে এটা ভাবা ঠিক নয়। এটা সিবিআইয়ের অগ্নিপরীক্ষা। তাদের হাত যদি সীতার মতো পরিষ্কার হয় তা হলে তা আরও উজ্জ্বল হবে। তা যদি না হয়, তা হলে তার পরিণাম ভুগতে হবে।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে ২০১২ সালে নিয়ম ভেঙে সোনা আমদানি করার অভিযোগ ওঠায় সুরানা কর্পোরেশন লিমিটেডের অফিসে তল্লাশি চালায় তারা।
সেই বাজেয়াপ্ত করা সোনার মোট ওজন ছিল ৪০০.৪৭ কেজি। তার মধ্যে কিছু গয়নাও ছিল। সম্প্রতি ওই কোম্পানির ঋণ শোধের জন্য এসবিআই-সহ ছটি ব্যাঙ্কের মধ্যে ভাগ করে দিতে বলে।
তখন আলাদা করে ওজন করার সময় দেখা যায় ওজন কমে গিয়েছে। যদিও এই তারতম্য ধরার পড়ার পরেই সিবিআই অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
সিবিআই আধিকারিকদের ভূমিকা খতিয়ে দেখতেই ওই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিবিআইয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত চলাকালীন মাদ্রাজ হাইকোর্টে আবেদন জমা পড়ে, তার ভিত্তিতেই আদালতের এই নির্দেশ।