নয়াদিল্লি: ৭১ বছর বয়সী বৃদ্ধাকে চোখে লঙ্কা গুঁড়ো ছিটিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল বছর ১১-র এক নাবালিকার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম দিল্লির রাজৌরি গার্ডেন এলাকায়।


কিন্তু এই ঘটনার পিছনে কী কারণ, তা এখনও পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়। তবে, জানা গিয়েছে, জুভেনাইল বোর্ডের কাছে মেয়েটি জানিয়েছে, পরিবারের অর্থাভাব মেটাতেই এই কাজ করেছে সে।

পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সুনীতা মদন নামে ওই বৃদ্ধার বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন মেয়েটির মা। মায়ের পরিবর্তেই কাজে গিয়েছিল সে।

সুনীতা দেবী জানিয়েছেন, মেয়েটি এসে তাঁকে জানায়, তাদের পরিবারের কেউ মারা গিয়েছে। তাই মা আসতে পারবে না। মায়ের পরিবর্তে সেই কাজ করে দেবে। এরপর যখন ওই বৃদ্ধা বিশ্রাম নিচ্ছিলেন, তখনই তাঁর ওপর হামলা চালায় মেয়েটি। বৃদ্ধার চোখে লঙ্কা গুঁড়ো ছিটিয়ে দেয়, মাথায় ফুলদানি ছুঁড়ে মারে বলে অভিযোগ। এরপরই বৃদ্ধার চিতকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তাঁকে রক্ষা করেন। অভিযুক্ত নাবালিকাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন তাঁরা। আপাতত তাকে একটি নাবালক সংশোধনাগারে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, পুলিশের প্রাথমিক অনুমান দাবি জিনিসপত্র চুরির অভিপ্রায়েই এই ঘটনা ঘটিয়েছে মেয়েটি। প্রতিবেশীরা জানান, মেয়েটি যখন এই ঘটনা ঘটায়, তখন তার মা অন্য একটি বাড়িতে কাজ করছিলেন। পুরো ঘটনা জানতে পেরে তিনিও সেখানে হাজির হন। তিনি জানান, মেয়ের এই কীর্তির ব্যাপারে কিছুই জানতেন না তিনি।

মাথায় ও ঘাড়ে গুরুতর আঘাত লাগে সুনীতাদেবীর। একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিতসা চলছে তাঁর।

প্রসঙ্গত, ওই মহিলা পশ্চিম দিল্লি এলাকায় একটি ওষুধের দোকান চালান। তাঁর স্বামী একটি বহুজাতিক সংস্থার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ। দম্পতির এক ছেলে, তিনিও বিদেশে থাকেন। বয়সকালে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা কতটা নিরাপদ, এই ঘটনা আবারও সেই প্রশ্নই তুলল।