বাড়ি, শিল্প, কৃষিক্ষেত্র, যানবাহন এবং কয়লা প্ল্যান্টে শক্তির অপব্যবহারের জন্যে মূলত বায়ু দূষণ ঘটে। আর বায়ু দূষণের জেরে প্রতিবছর প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, দাবি হু-র। বাতাসে ছোট ছোট কণা যেমন সালফেট, নাইট্রেট এবং ব্ল্যাক কার্বোনের উপস্থিতির জেরে এই প্রাণহানিগুলো ঘটছে। এই বস্তুকণাগুলো মানুষের ফুসফুস পৌঁছে মারাত্মক ক্ষতি করে। তার জেরেই প্রাণ চলে যাচ্ছে সাধারণ নিরীহ মানুষের, দাবি হু-র।
অন্যান্য ভারতীয় শহর যেগুলো এই তালিকায় রয়েছে, সেগুলো হল ফরিদাবাদ, গয়া, আগরা, জয়পুর, পাতিয়ালা এবং জোধপুর। গ্বোয়ালিয়র, ভারতের সবচেয়ে দূষিত শহর। সেখানে পিএ ১০ ও পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি হু নির্দেশিত মাত্রার থেকে ১৭ শতাংশ বেশি রয়েছে। ১০ জনের মধ্যে ন জন মানুষই দূষিত আবহাওয়ায় নিঃশ্বাস নেন। মূলত এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের মানুষরাই এই দূষিত আবহাওয়ায় সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত। হৃদযন্ত্রের সমস্যা, স্ট্রোক এবং ফুসফুসে ক্যান্সারও এই বায়ু দূষণের কারণেই ঘটে।
প্রসঙ্গত, রান্নার জন্যে এখনও ভারতের বহু শহরে এলপিজি গ্যাসের বদলে কয়লা ব্যবহার করা হয়। এর জেরে বায়ু দূষণ আরও খারাপ আকার ধারণ করছে। তবে হু-র রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বের প্রায় সব দেশই এই ক্ষেত্র থেকে বায়ু দূষণ রোধ করতে নানা গঠনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। ভারতে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনাও তেমনই এক উদ্যোগ। গত দুবছরে প্রায় ৩৭ মিলিয়ন পরিবার এলপিজি পরিষেবার আওতায় এসেছে। ২০২০ সালের মধ্যে প্রায় ৮০ মিলিয়ন ঘরে সেই পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।