নয়াদিল্লি: রবিবার রাতটা অন্যভাবে কাটাল ১৭ বছরের ছেলেটা। দিল্লির এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্ত ঘুরে বোনকে উত্যক্ত করা দু’জনকে খুন করল সে।


প্রথমে সে যায় পশ্চিম দিল্লির খায়ালায়। সেখানে থাকত তার প্রথম শিকার, সুনীল। এই ছেলেটিকে একবার ছুরি মারে সুনীল, তাই জেলে ছিল, তবে কিছুদিন হল ছাড়া ছিল প্যারোলে। মনোজ নামে বছর বাইশের এক বন্ধুকে নিয়ে প্রথমে সে যায় সুনীলের বাড়ি। কাছে একটা পার্কে তাকে ডেকে নেয়, মিনিট পাঁচেক ধরে এটা ওটা কথা বলে। তারপর আচমকা ছুরি বের করে তাকে শেষ করে দেয়।

সুনীলের গলার সোনার চেন ছিনিয়ে নিয়ে তারা রওনা দেয় আর এক অভিযুক্ত কুলদীপের বাড়ি মধ্য দিল্লির নবি করিমের দিকে। পথে বাড়ির লোকের ফোন পেয়ে ফিরে যায় মনোজ।

কিন্তু ১৭ বছরের ছেলেটি মন পাল্টায়নি। সোজা কুলদীপের বাড়ি চলে যায় সে। জানত, রাত ১১টার সময় বাড়িতে সে একাই থাকে। দরজায় কড়া নাড়ার শব্দে কুলদীপ দরজা খুলে দিলে তাকে কলার ধরে টেনে বার করে ওই তরুণ। নিয়ে যায় বাড়ির কাছে অন্ধকার এক জায়গায়। সেখানেই বারকুড়ির বেশি ছুরি মারে তাকে। একই ছুরি, যা দিয়ে সে প্রথম খুন করেছিল।

কুলদীপের আর্তনাদে পড়শিরা হাজির হলেও ছেলেটিকে ধরা যায়নি। পুলিশ কুলদীপকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

নবি করিমেই বাড়ি ছিল ছেলেটির। পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করে তার বন্ধু মনোজকে। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে এই ছেলেটিকেও গ্রেফতার করা হয়।