রায়পুর: গত মাসে ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলার তোন্ডামারকা এলাকায় যৌথ মাওবাদী দমন অপারেশন চালায় সিআরপিএফ, কমান্ডো ব্যাটালিয়ন ফর রিসল্যুট অ্যাকশন (সিআরপিএফের এলিট কোবরা ইউনিট), রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) ও ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি)। ২৩ ও ২৫ জুনের মধ্যে 'প্রহার' নামে ওই অভিযান চলে চিন্তনগুফা থানার আওতায় পড়া গভীর জঙ্গলে। মাওবাদীদের ঘাঁটি বলে পরিচিত জায়গাটি। অভিযানে ১৮ মাওবাদী খতম হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।


সুকমার পুলিশ সুপার অভিষেক মিনা জানান, যদিও উইকা লাখু নামে এক কট্টর মাওবাদী 'সামরিক কমান্ডারের' দেহই পাওয়া গিয়েছে। তবে পুলিশ ১৮ মাওবাদীর প্রাণ হারানোর খবরটি সঠিক বলে নিশ্চিত। আরও একাধিক মাওবাদী হয় মারা গিয়েছে বা জখম হয়েছে, সঙ্গীরা তাদের দেহ জঙ্গলের ভিতরে টেনে নিয়ে গিয়েছে। তিন ডিআরজি জওয়ানও নিহত হয়েছেন, ৬ জন নিরাপত্তা জওয়ান জখম হয়েছেন বলে জানান পুলিশ সুপার।

মিনা বলেন, অভিযানে ১৪ মাওবাদীর নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলিবিনিময়ে নিকেশ হওয়ার পাকা খবর আমাদের হাতে এসেছে। চার জখম মাওবাদী ক্যাডার পরে মারা গিয়েছে। তিনি জানান, স্থানীয় গোয়েন্দা সূত্রের খবর অনুসারে, নিহত মাওবাদীদের ৬ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এরা হল সোধী বুধরা, পোডিয়াম সুরেশ, মুচাকি যোগী, মাদভি হিডমা, ভেটি জোগা ও সোধি লাখে। সবাই মাওবাদীদের পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মির সদস্য।

গত ২৪ এপ্রিল সুকমার বুরকাপালে রাস্তা নির্মাণের কর্মীদের সুরক্ষায় নিযুক্ত ২৫ সিআরপিএফ জওয়ান মাওবাদী হামলায় নিহত হন। তার আগে ১১ মার্চ সুকমার ভেজিতেও মাওবাদী হানায় প্রাণ হারান ১২ সিআরপিএফ জওয়ান।

নিরাপত্তা বাহিনীকে সবচেয়ে বড় আঘাত দিয়েছে সুকমাতেই।

এক শীর্ষ পুলিশকর্তার দাবি, মাওবাদীরা এই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে যে, রাস্তা তৈরি হলে বস্তারে নিরাপত্তাবাহিনীর আনাগোনা বেড়ে যাবে, আরও বেশি উন্নয়ন হবে, যা তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন করে তুলবে।