আগরা: মায়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে ২ জনকে সঙ্গে নিয়ে এক কিশোরকে নির্মমভাবে হত্যার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। হত্যার পর মুণ্ডচ্ছেদ করে আঙুল কেটে দেহ জঙ্গলে ফেলে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে ওই তিনজনের বিরুদ্ধে।
এই হত্যার খবর প্রকাশ্যে আসে গত রবিবার। সেদিন ১৫ বছরের আমন শর্মার মুণ্ডহীন দেহ আগরার কাছে যমূনা নদী লাগোয়া খান্ডোলি অঞ্চলের নন্দলালপুর জঙ্গলে পাওয়া যায়। পুলিশ জানায়, দশম শ্রেণিতে পাঠরত ওই কিশোর গত ২ জুন থেকে নিখোঁজ ছিল।
খোঁজ নিয়ে পুলিশ জানতে পারে, শেষবার নিহত কিশোরকে অভিযুক্তদের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। যে তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ ওঠে তারা হল— ১৮ বছরের আমন কুশাওয়া ওরফে লাকি, ১৫ বছরের নিখিল শর্মা এবং ১৩ বছরের গোবিন্দ তোমার।
আমনের এক আত্মীয় ধর্মেন্দ্র শর্মার দাবি, তিনজন আমনকে (শর্মা) নিয়ে হাঁটতে বের হয়। কিন্তু, ওরা ফিরলেও, আমন না ফেরায় তাঁরা তিনজনকে প্রশ্ন করেন। যদিও, তিনজনই জানিয়ে দেয়, তারা কিছুই জানে না।
ধর্মেন্দ্র জানান, ওদের সঙ্গেই শেষবার আমনকে দেখা গিয়েছিল। এদিকে, ঘরের ছেলে না ফেরায়, শুক্রবার পরিবারের তরফে পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। পাশাপাশি, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগও দায়ের করা হয়।
রবিবার, পুলিশের তরফে ফোন করে পরিবারকে দেহ সনাক্তকরণের জন্য ডাকা হয়। নিহতের আরেক আত্মীয় রিঙ্কু পরনের পোশাক দেখে আমনকে চিহ্নিত করেন। এরপরই, তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
জেরায় পুলিশের হাতে যা তথ্য উঠে আসে, তা হাড় হিম করার মতো। তদন্তকারীরা জানান, তিনজনই আমনকে হত্যার করার কথা স্বীকার করে নেয়। লাকি জানায়, আমন সহ তিন সন্তানের মা অঞ্জুর সঙ্গে তার বাবা রামসহায় কুশাওয়ার অবৈধ সম্পর্ক ছিল।
লাকির অভিযোগ, ওই সম্পর্কের জন্যই তার মা মারা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মায়ের মৃত্যুর জন্য আমনের মা অঞ্জুকে দায়ী করে লাকি। লাকি দাবি করেছে, আমনের কাছ থেকে সে তার মায়ের মৃত্যুর কারণ জানতে চায়। কিন্তু, আমন কিছুই জানাতে রাজি হয়নি।
এরপরই সে রাগে ছুরি বের করে আমনকে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। সেখানেই আমনের মৃত্যু হয়। তারপর আমনের মুণ্ড ধড় থেকে আলাদা করে লাকি। একইসঙ্গে হাতের আঙুলও কেটে নিয়ে দেহটিকে জঙ্গলে ফেলে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, আমনের মুণ্ড এখনও মেলেনি।