মুম্বই: ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনায় টাডা আইনে দোষী সাব্যস্ত করা হয় আবু সালেম, তাহির মার্চেন্ট ও ফিরোজ খানকে। কিন্তু বাকি দু জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা হলেও, সালেমের ২৪ বছর কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে বিশেষ টাডা আদালত। ভারতের সঙ্গে পর্তুগালের বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির কারণেই লঘু সাজা হল সালেমের। এই চুক্তিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া যাবে না। এমনকী, ২৫ বছরের বেশি কারাদণ্ডের সাজাও দেওয়া যাবে না। এরই সুযোগ পেল সালেম।


১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিল সালেম। তার বিরুদ্ধে গুজরাত থেকে মুম্বইয়ে একে-৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল, বুলেট, হ্যান্ড গ্রেনেড সরবরাহ করার অভিযোগও ছিল। এই বিস্ফোরণের পরেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় সালেম। সে বিভিন্ন দেশ ঘুরে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে পৌঁছয়। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করে ভারতে প্রত্যর্পণ করা হয়। সালেমকে ভারতে আনা হয় ২০০৫ সালের ১১ নভেম্বর। তবে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট অ্যানিবাল কাভাসো সিলভা প্রত্যর্পণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে। এই চুক্তি অনুসারে, প্রত্যর্পণের পর সংশ্লিষ্ট অপরাধীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বেশি সাজা দেওয়া যাবে না।

এ বছরের জুনে ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় সালেম, মুস্তাফা দোসা, মহম্মদ তাহির মার্চেন্ট, করিমুল্লা খান, রিয়াজ সিদ্দিকি ও ফিরোজ আবদুল রশিদ খানকে দোষী সাব্যস্ত করে বিশেষ টাডা আদালত। সবার অপরাধই একরকম হলেও, প্রত্যর্পণ চুক্তির কারণেই সালেমের মৃত্যুদণ্ডের সাজার পক্ষে সওয়াল করা যায়নি বলে জানিয়েছেন সিবিআই-এর আইনজীবী উজ্জ্বল নিকম। অপর এক আইনজীবী দীপক সালভি বলেছেন, সরকার ক্ষমতা প্রয়োগ করে সালেমের ২৫ বছরের কারাদণ্ডের ব্যবস্থা করতে পারে। তবে যা-ই হোক না কেন, এর বেশি সাজা হচ্ছে না সালেমের।