জম্মু ও শ্রীনগর: আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া জম্মুর আরএস পুরা ও আর্নিয়া সেক্টরে পাক সেনার টানা গুলিবর্ষণে  শহিদ বিএসএফের ১ হেড কনস্টেবল। অন্যদিকে, নিয়ন্ত্রণরেখায় জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখতে গিয়ে শহিদ হলেন এক জওয়ান।
সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, জম্মু ও কাশ্মীরের আরএস পুরা ও আরনিয়া সেক্টরে বিএসএফ ছাউনিকে টার্গেট করে গুলি চালায় পাকিস্তান। বুধবার রাত ৮টা নাগাদ আর্নিয়া সেক্টরে ফায়ারিং শুরু হয়। বেশ কয়েকটি ভারতীয় ছাউনি ও সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলিকে নিশানা করেছে তারা। ছোঁড়া হয় মর্টার শেলও। গুলির ঘায়ে গুরুতর জখম হন এক জওয়ান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
এছাড়াও পাক গুলি ও মর্টারের ঘায়ে আহত হয়েছেন আর এস পুরার খোপরা বস্তির ৬ জন সাধারণ নাগরিক। আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর ওই এলাকায় সারা রাত গুলি চালিয়েছে পাকিস্তান। পুলিশ জানিয়েছে, পাক গুলিবর্ষণের মুখের মত জবাব দিচ্ছে বিএসএফও। বিএসএফের জবাবি হামলায় ঝাঁঝরা হয়ে যাচ্ছে পাক ছাউনিগুলিও। পাক সেনার ৫-৬টি ছাউনিকে পুরোপুরি মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে তারা।


অথচ কোনও প্ররোচনা ছাড়াই ভারতের ওপর নাগাড়ে হামলা চালানোর পরেও পাকিস্তান বারবার দাবি করছে, হামলা নাকি চালাচ্ছে ভারতই। পাক বিদেশমন্ত্রক অভিযোগ করেছে, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতই নাকি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তানের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এতে মারা গিয়েছে ২ পাক নাগরিক, আহত ৯ জন।
অথচ প্রকৃত তথ্য বলছে, পাকিস্তানের অকারণ গুলিবর্ষণে বিএসএফের ২ জওয়ান সুশীল কুমার ও গুরনাম সিংহ শহিদ হয়েছেন। এখন যখন সেনা ও বিএসএফ পাকিস্তানকে পাল্টা জবাব দিচ্ছে, তখন দোষারোপের খেলায় ভারতের ওপর চাপ তৈরির কৌশল নিয়েছে তারা।
এদিকে, বৃহস্পতিবার, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর তাংধর সেক্টরে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের দিক দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করে বেশ কিছু জঙ্গি। জঙ্গিদের দেখতে পেয়েই সজাগ ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের রোখার চেষ্টা করে। বাহিনীকে দেখেই গুলি চালাতে শুরু করে দেয় জঙ্গিরা। দুপক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় চলে। এতেই এক জওয়ান শহিদ হন। আরও এক জন আহত হয়েছেন। শেষ খবর মেলা পর্যন্ত, জঙ্গিরা অনুপ্রবেশে সফল হয়নি। এখনও দুপক্ষের লড়াই চলছে। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে গিয়েছে অতিরিক্ত বাহিনী।