গ্রেটার নয়ডা:  ফের উত্তরপ্রদেশে গোরক্ষক বাহিনীর তাণ্ডব। গোহত্যা করা হবে, এই সন্দেহের বশে দুই ব্যক্তিকে বেধড়ক মার। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধেবেলা গ্রেটার নয়ডার সিরসার খাদারপুর গ্রামে। যে দুই ব্যক্তিকে সন্দেহের বশে গণপিটুনি দেওয়া হয়, তারমধ্যে একজন প্রবীণ নাগরিক। ঘটনায় অভিযুক্ত পলাতক চারজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

জয়বীর সিংহ এবং তাঁর কাকা ভূপ সিংহ সবজি বিক্রি করে গ্রেটার নয়ডা থেকে ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁদের সঙ্গে ছিল তাঁদের গরুটি। তখনই গোরক্ষা বাহিনীর নজরে আসেন তাঁরা। গোরক্ষা বাহিনীর সন্দেহ হয়, তাঁরা পরে গোহত্যা করতে পারে। এই ভেবে তাঁদের বেধড়ক মারতে শুরু করে চার ব্যক্তি।

পুলিশ সূত্রে দাবি, আক্রান্ত দুই ব্যক্তিকে ওই গরুটি উপহার দিয়েছিলেন এক মুসলিম ব্যক্তি। কারণ, তাঁকে আরও অনেক পশুর খেয়াল রাখতে হয়, যারা তাঁর তত্ত্বাবোধানে রয়েছে।

পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূপ সিংহ। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে মোট চার ব্যক্তি ছিল। আক্রান্তের অভিযোগ কেউ তাঁদের জিজ্ঞেস পর্যন্ত করেনি, তাঁরা গরুটি নিয়ে কী করবেন? সরাসরি সন্দেহের বশে মারতে শুরু করে দেয়। দুজন আক্রান্তের নাক, বুক এবং কাঁধে চোট রয়েছে। চিকিত্সার জন্যে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

অভিযুক্ত চারজনের বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনা ফের গত বছর দাদরির বেসেহরা গ্রামে ঘটে যাওয়া আখলাককাণ্ডের কথা মনে করিয়ে দেয়। ফ্রিজে গোমাংস রাখা আছে, এই সন্দেহের বশে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে উত্তরভারত ও দেশের পশ্চিমাঞ্চলে গোরক্ষা বাহিনীর তাণ্ডব মারাত্মকই বেড়েছে। ক্ষমতায় আসার অল্প কিছুদিনের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশ সরকার রাজ্যের সমস্ত বেআইনি কসাইখানা বন্ধের নির্দেশ দেয়।এই ঘটনা নিয়েও বহু বিতর্ক হয়েছে।