চেন্নাই: প্রায় ২ হাজার কেজি ফুল দিয়ে সজ্জিত হয়েছিল তামিলনাড়ুর প্রয়াত নেত্রী জয়ললিতার শবদেহবাহী শকট। আর ওই শকট সাজাতে ৪০ জন কর্মী প্রায় ১০-ঘণ্টা সময় নিয়েছেন।


সেনাবাহিনীর ট্রাক এবং তার সঙ্গে লাগোয়া গান-ক্যারেজে চেপে মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার অন্তিমযাত্রা সম্পন্ন হয়। জানা গিয়েছে, দু ধরনের ফুল ব্যবহার করে মালা গাঁথা হয়েছে। একটি হল জেবরা, অ্যাসপারাগাস এবং ডেইসি ফুল। অন্যটি গোলাপ বা সাদা গাঁদা।


শবদেহবাহী শকট সাজানোর দায়িত্বে থাকা ভেলু জানান, শোক অনুষ্ঠানের সঙ্গে মানানসই ফুল বাছা হয়েছে। তিনি বলেন, ট্রাক ও গান-ক্যারেজ এবং জয়ললিতার স্মারক সাজাতে মালা ও বিভিন্ন সজ্জার জন্য প্রায় ২ হাজার কেজি ফুল লেগেছে। এর মধ্যে অনেক ফুল বেঙ্গালুরু থেকে আনা হয়েছে।


তিনি জানান, মালা গাঁথার কাজ বেশ কঠিন ছিল। ভোর ৩টে থেকে প্রায় ৪০ জন কর্মী এক নাগাড়ে মালা গাঁথার কাজে নিয়োগ ছিল। তার পরে গিয়ে ওই কাজ শেষ হয়েছে।


জীবিতকালে তাঁকে অধিকাংশ সময়ে অতি প্রিয় গাঢ় সবুজ রঙের শাড়িতে দেখা যেত। মৃত্যুর পরও শাড়ির রং বদলাল না।


মঙ্গলবার শেষযাত্রায় তামিলনাড়ুর প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার পরনে ছিল তাঁর অতি প্রিয় রঙের শাড়ি। এদিন সকালে জয়ললিতার মৃতদেহ যখন তাঁর পয়েস গার্ডেনের বাসভবন থেকে রাজাজি হলে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন লালপাড়ের সবুজ শাড়িতে মোড়া ছিল প্রয়াত নেত্রীকে।


জীবিতকালে, সর্বদা জয়ললিতাকে এই রঙের শাড়িতে দেখা গিয়েছে। গত মে মাসে ষষ্ঠবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার সময়ও সবুজ শাড়ি পরেছিলেন জয়ললিতা।


আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ খারিজ হওয়ার পর প্রথমবার জনসমক্ষে আসার সময়ও জয়ললিতার পরণে ছিল সবুজ রঙের শাড়ি। যে কক্ষে তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল, সেই মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় শতবার্ষিকী হলও সেজে উঠেছিল সবুজ রঙে।


শুধু তাই নয়, রাজ্যপাল কে রোশাইয়াকে তিনি যে ফুলের স্তবক দিয়ে স্বাগত জানান, তাও মোড়া ছিল সবুজ রঙে। দলীয় কর্মীরা জানান, সবুজ হল জয়ললিতার পছন্দের ও শুভ রং।


জয়ললিতা যে পেন ব্যবহার করেন, তার রং থেকে শুরু করে  নেত্রীর হাতে যে আংটি রয়েছে, তাতে বসানো পাথরের রংও সবুজ।