রাঁচী: দেশের স্বাধীনতার পর পেরিয়ে গিয়েছে ৭০ বছর। কিন্তু তারপরেও দেশের ২০ শতাংশ নাগরিক নিরক্ষর। এটা অত্যন্ত লজ্জার বিষয়। নিরক্ষরতা দূর করার জন্য সমাজের সব অংশের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবসের অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করলেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। তবে তিনি এ-ও বলেছেন, এ বিষয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। স্বাধীনতার পর থেকে সব সরকারই স্বাক্ষরতার হার বাড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু তারপরেও এখনও পর্যন্ত ৮০ শতাংশের বেশি মানুষকে স্বাক্ষর করে তোলা সম্ভব হয়নি। স্বাক্ষরতার বিষয়টি শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়। সব নাগরিকেরই নিরক্ষতা দূরীকরণের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া উচিত।


ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের প্রশংসা করে বেঙ্কাইয়া বলেছেন, গত তিন বছরে ৩২ লক্ষ মানুষকে স্বাক্ষর করে তোলা হয়েছে। ২০১৯-২০ সালের মধ্যে রাজ্যের সব মানুষকে স্বাক্ষর করে তুলতে পারলে সেটা রাজ্য সরকারের বড় সাফল্য হবে। গরিব মানুষের আত্মসম্মান এবং সামগ্রিক উন্নতির জন্য স্বাক্ষরতা ও শিক্ষা জরুরি। এটা দেশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। রাজ্য ও দেশের উন্নতি, দুর্নীতি দূর করা এবং কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শিক্ষা দরকার। শেখার কোনও বয়স নেই। যে কোনও বয়সেই শিক্ষা নেওয়া যায়। বিশেষ করে মহিলাদের শিক্ষা অত্যন্ত জরুরি। পুরাণ ও মহাভারতে দেখা যায়, ভারতে মহিলাদের ক্ষমতায়নের সুপ্রাচীন ইতিহ্য রয়েছে। সরস্বতী ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। পার্বতী বা দুর্গা ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং লক্ষ্মী ছিলেন অর্থমন্ত্রী। নদীর নামও রাখা হয় মেয়েদের নামেই। স্বাধীনতার ৭০ বছর পরে এই প্রথম পূর্ণ সময়ের মহিলা প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেয়েছে দেশ। দেশের উন্নতির জন্য মহিলাদের শিক্ষা ও ক্ষমতায়ন জরুরি।