বরাবাঁকির আদালত যথেষ্ট তথ্য ও প্রমাণের অভাবে গুলজার ও এই মামলায় সহ অভিযুক্ত মোবিনকে রেহাই দিয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত পক্ষের কৌঁসুলি এম এস খান। বাদী পক্ষ কোনও অভিযোগই প্রমাণ করতে পারেনি। দুই অভিযুক্তকেই যাবতীয় অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে অতিরিক্ত দায়রা জজ এম এ খানের আদালত, বলেছেন তিনি।
২০০১ সালে দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন গুলজার। তাঁর কাছে বিস্ফোরক ও আপত্তিকর সামগ্রী পাওয়া যায় বলে অভিযোগ করেছিল পুলিশ। সে সময় আলিগড় বিশ্ববিদ্য়ালয়ে আরবি নিয়ে এম ফিল করছিলেন ২৮ বছরের গুলজার। আরও দশটি বিস্ফোরণ সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত করা হয় তাঁকে। দিল্লি, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন থানায় ১৪টি এফআইআর দায়ের হয় তাঁর বিরুদ্ধে। সব গুলি থেকে অবশ্য প্রমাণাভাবে ছাড়া পান। কিন্তু ট্রেনে বিস্ফোরণ মামলায় জামিন পাননি।
গত মাসের গোড়ায় তিনি অব্যাহতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান। সেখানে প্রধান বিচারপতি জে এস খেহার ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ গুলজারের আবেদনের বিরোধিতা করা উত্তরপ্রদেশ সরকারের কৌঁসুলিকে কার্যত তিরস্কার করে বলে, এটা লজ্জার ব্যাপার। ১১টি মামলার মধ্যে দশটি থেকেই রেহাই পেয়েছেন উনি। তারপরও ওঁকে জামিন না দিয়ে আটকে রেখে দিতে চান আপনারা।
গুলজার কাশ্মীরের শ্রীনগরের পিরপারকারি এলাকার বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে লখনউয়ের এক জেলে রয়েছেন।