মালকানগিরি: অন্ধ্রপ্রদেশ-ওড়িশা মালকানগিরিতে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলিযুদ্ধে নিহত ২৩ জন মাওবাদী। সীমান্তের কাছে খতম হওয়া মাওবাদীদের মধ্যে অন্তত এমন দুজন শীর্ষ নেতা রয়েছে বলে নিরাপত্তাবাহিনীর ধারণা যাদের মাথার দাম ধার্য হয়েছিল ২০ লক্ষ টাকা। সত্যিই এটা ঘটে থাকলে নিঃসন্দেহে বলা যাবে, নিরাপত্তাবাহিনী মাওবাদী দমন অভিযানে বিরাট সাফল্য পেল। সূত্রের খবর, গাজারলা রবি ওরফে উদয় ও চলপতি নামে দুজন মাওবাদীকে নিকেশ করে দিতে সফল হয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী। এছাড়াও নিহতদের মধ্যে আছে শীর্ষ মাওবাদী নেতা রামকৃষ্ণের ছেলে জনৈক মুন্নাও। মাওবাদী দলটিতে ১৫ জন পুরুষ ছিল। সোমবার ভোররাতে ঘণ্টাখানেকের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে বেশ কয়েকজন মহিলা মাওবাদী ক্যাডারও।


সোমবার ভোরের অভিযানে জখম দুই পুলিশ কর্মীর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। এঁরা মাওবাদী দমনে তৈরি অন্ধ্রপ্রদেশের  বিশেষ গ্রেহাউন্ড বাহিনীর সিনিয়র কমান্ডার। তাঁদের চিকিত্সার জন্য হেলিকপ্টারে করে বিশাখাপত্তনম উড়িয়ে  নিয়ে যাওয়া হলেও প্রাণে বাঁচানো গেল না এক জনকে।

বিশাখাপত্তনম পুলিশের এক আধিকারিক রাহুল দেব শর্মা জানিয়েছেন, হাসপাতাল মৃত্যু হয়েছে গাজুওয়াকার বাসিন্দা আবুবকর নামে ওই কম্যান্ডোর।

জানা গিয়েছে, মালকানগিরির ১০ কিলোমিটার ভেতরে বৈঠকের জন্য জড়ো হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ জন মাওবাদী, গোপন সূত্রে এ খবর পেয়ে অভিযান চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে যে, ওই এলাকায় প্রথম সারির মাওবাদী নেতাদের বৈঠক হবে। এরপরই গতকাল রাত থেকেই তল্লাশি ও চিরুনি অভিযান শুরু করে নিরাপত্তাবাহিনী।

অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল ইনচার্জ নান্দুরি শম্ভাশিব রাও বলেছেন, ঘটনাস্থল থেকে একে-৪৭ রাইফেল, সেল্ফ-লোডিং রাইফেল সহ প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। যা থেকে স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে,  মাওবাদীদের রাজ্যস্তরের নেতাদের থাকার সম্ভাবনা প্রবল। তবে আগে শনাক্ত করতে হবে নিহতদের, তারপরই এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে। অন্ধপ্রদেশ, ওড়িশা পুলিশের যৌথ অভিযান হয়েছে। একে-৪৭ রাইফেল থেকে বাহিনীর ওপর হামলা করে মাওবাদীরা। আত্মরক্ষায় তারা পাল্টা গুলি চালায়।