চেন্নাই: করোনা অতিমারির জেরে স্তব্ধ জনজীবন। লকডাউনের জেরে কর্মসূত্রে বা পড়াশোনা করতে গিয়ে ভিন রাজ্যে আটকে পড়েছেন অনেকেই। অগত্যা বাড়ি ফিরতে দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটেই পাড়ি দিয়েছেন।


লকডাউনের মাঝে এভাবেই সাড়ে চারশো কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারাই গেলেন ২২ বছরের এক পড়ুয়া! মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধা থেকে পায়ে হেঁটে তামিলনাড়ুতে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি।

পশ্চিম তামিলনাডুর নমক্কল গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন বালা সুব্রমণি লোগেশ নামের বছর বাইশের ওই পড়ুয়া। মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধায় কৃষিখাদ্য নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন তিনি। লকডাউন চলাকালীন গণপরিবহণ বন্ধ। লোগেশ-সহ ৩১জন পড়ুয়া মিলে পায়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরছিলেন। বুধবার বোয়েনপল্লি বাজার এলাকায় পুলিশ তাঁদের আটকায় এবং ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত একটি কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁদের খাবারও দেওয়া হয়।

মাঝরাতে জ্ঞান হারান লোগেশ। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা যায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে লোগেশের। কিন্তু এত কম বয়সে হৃদরোগ? চিকিৎসকেরা বলছেন, প্রচুর হাঁটার ধকল সম্ভবত নিতে পারেননি লোগেশ। তাই তাঁর হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে যায়।

এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, সাড়ে চারশো কিলোমিটারের মধ্যে কিছুটা রাস্তা ট্রাকে আর বাকিটা পথ পায়ে হেঁটে পাড়ি দেন লোগেশরা।