নয়াদিল্লি: বিশ্বের মধ্যে ভারতে সবচেয়ে বেশি মানুষ দূষণে মারা গিয়েছেন। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল সমীক্ষায়।


‘দ্য লান্সেট’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে এইডস, ম্যালেরিয়া ও যক্ষ্মা মিলিয়ে যত জনের মৃত্যু হয়েছে, তার চেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে দূষণে। ওই বছর সারা বিশ্বে দূষণ-সংক্রান্ত রোগে মারা গিয়েছেন ৯০ লক্ষ মানুষ।


সমীক্ষা বলছে, এরমধ্যে শুধুমাত্র ভারতেই মারা গিয়েছেন ২৫ লক্ষ, যা বিশ্বের যে কোনও দেশের পক্ষে সর্বাধিক। এর মধ্যে আবার ১৮ লক্ষের মৃত্যুর করাণ বায়ুদূষণ। জল-দূষণে মারা গিয়েছেন প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ।


সমীক্ষায় বলা হয়েছে, প্রায় প্রত্যেক দেশেই সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক মানুষরাই দূষণ-সংক্রান্ত রোগে বেশি করে আক্রান্ত হন। এই রোগের ৭০ শতাংশ  সংক্রামক হয় না। মূলত, হৃদজনিত ও শ্বাসজনিত সমস্যা দেখা দেয়।


সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে বিশ্বে যত মানুষের মৃত্যু বায়ুদূষণে হয়েছে, তার ৫০ শতাংশ ঘটেছে ভারত ও চিনে। এই দুই দেশে মোট ৩২ লক্ষ মানুষ বায়ু-দূষণে মারা গিয়েছেন। যার ফলে, বিশ্বের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল হয়ে উঠেছে।


সমীক্ষা বলছে, মাঝারি আয়ের দেশগুলিতে মেডিক্যাল খরচের ৭ শতাংশ ব্যয় হয় দুষণজনিত রোগের চিকিৎসায়। পাশাপাশি, কল্যাণমুলক প্রকল্পে প্রতি বছর এর ফলে ক্ষতি হয় ৪.৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।


সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে ১০ জনবহুল দেশগুলির মধ্যে দূষণ-জনিত মৃত্যুর সংখ্যায় সর্বাধিক বৃদ্ধির হার ভারত ও বাংলাদেশে। সমীক্ষায় আশঙ্কা করা হয়েছে যে, ভবিষ্যতে বিশ্বে যত মৃত্যু হবে, তার ৫০ শতাংশ বায়ুদূষণের ফলেই ঘটবে।


গবেষকদের অনুমান, ২০৫০ সালে ৪২-৬৬ লক্ষ মানুষ বিশ্বব্যাপী বায়ুদূষণে মারা যাবেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হবে দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ায়।


সমীক্ষার দাবি, বিশ্বব্যাপী ১৬ শতাংশ মৃত্যুর কারণ দূষণ। আর তার মধ্যে আবার ৯২ শতাংশ মৃত্যু হচ্ছে ভারতের মতো মধ্য-আয়ভুক্ত দেশে।