নয়াদিল্লি: আজ অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ২৫ তম বর্ষপূর্তি। এই দিনটিতে অযোধ্যায় ব্যাপক নিরাপত্তার বন্দোবস্ত হয়েছে। শহরে প্রত্যেকটি যানবাহনের ওপর নজর রেখে চলেছে মেটাল ডিটেক্টর,স্নিফার ডগ। বামপন্থীদলগুলি আজকের দিন ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করছে। অন্যদিকে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ‘শৌর্য দিবস’ হিসেবে পালনের ডাক দিয়েছে।
অযোধ্যা শহরে নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক রাখা হয়েছে। প্রত্যেকটি গাড়ি পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বম্ব ডিটেক্টর। পরিস্থিতির গুরুত্ব ও কেন্দ্র সরকারের অ্যাডভাইসরির পরিপ্রেক্ষিতে ফৈজাবাদ জেলা প্রশাসন দুই শহরেই কঠোর নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছে। পুলিশের পাশাপাশি সিআরপিএফ ও র্যা ফ মোতায়েন করা হয়েছে অযোধ্যা ও ফৈজাবাদে। অযোধ্যা গাড়ি, হোটেল ও ধর্মশালাগুলিতে নিয়মিত তল্লাশি চলছে।
পরিষদ ও তার সহযোগী সংগঠন আজকের দিনটি ‘শৌর্য দিবস’ ও ‘বিজয় দিবস’ হিসেবে পালনের ডাক দিয়েছে। অযোধ্যা ও ফৈজাবাদের বাসিন্দাদের বাড়িতে দ্বীপ জ্বালিয়ে আজকের দিনটি পালনের ডাক জানিয়েছে বজরং দল।
পরিষদের মুখপাত্র শরদ শর্মা বলেছেন, শুধু বাড়িগুলিই নয়, দুই শহরের মন্দিরগুলিও সাজানো হবে। তিনি বলেছেন, প্রথা মেনে অযোধ্যায় পরিষদের সদর দফতর করসেবকপুরমে ‘শৌর্য দিবস’ ও ‘বিজয় দিবস’ পালিত হবে।
অন্যদিকে, অযোধ্যা ও ফৈজাবাদের মুসলিম সংগঠনগুলি আজকের দিনটিকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করবে।
১৯৯২-র ৬ ডিসেম্বর ভাঙা হয়েছিল বাবরি মসজিদ। এদিন সিপিএম, সিপিআই, আরএসপি, ফরোয়ার্ড ব্লক, সিপিআই(এম-এল), এসইউসিআই-র মতো বামদলগুলি ‘কালো দিবস’ পালন করছে।