বেঙ্গালুরু: সেদিনের পর কেটে গিয়েছে দশ দশটা বছর। তবু ক্ষত থেকে রক্ত ঝরে এখনও। দোতলা বাড়ির ঘরের দেওয়াল থেকে স্মিত মুখে চেয়ে থাকেন এক তরুণ। দশ বছরে যাঁর বয়স একটুও বাড়েনি।
২৬/১১ এখনও দগদগে ইসরোর অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক উন্নিকৃষ্ণনের মনে। লস্কর ই তৈবা জঙ্গিদের হাত থেকে তাজ হোটেল মুক্ত করতে গিয়ে ওই দিন শহিদ হন মেজর সন্দীপ উন্নিকৃষ্ণন। পরের পছর ২৬ জানুয়ারি মরণোত্তর অশোক চক্রে ভূষিত করা হয় তাঁকে। তাঁর স্মৃতি নিয়েই বেঁচে আছেন প্রৌঢ়, আগলে রেখেছেন ছেলের নানা লেখালেখি, যে আসে, তাকেই শোনান সন্তানের অসীম দুঃসাহসের উপাখ্যান।
উন্নিকৃষ্ণন জানিয়েছেন, সব সময় জিততে চাইত তাঁর ছেলে। সচিন তেন্ডুলকরের ভক্ত ছিল, তাঁর মতই হার মানতে পারত না সে। চাইত, দেশ যেন সব ম্যাচে জেতে। ভারত হেরে গেলে হতাশ হয়ে পড়ত। আবার ইসরোর কোনও প্রকল্প অসফল হলে সান্ত্বনা দিত বাবাকে।
ধর্মীয় সংস্থাগুলিতে অর্থ সাহায্য করতে ভালবাসতেন সন্দীপ। এখন যখন সেই সংস্থাগুলি থেকে আর্থিক কারণে চিঠি আসে, তখন ছেলের কথা মনে পড়ে উন্নিকৃষ্ণনের। ২৬/১১ তাঁর কাছে শুধু তো যন্ত্রণার নয়, গৌরবেরও দিন। এই সব টুকরো টুকরো স্মৃতি থেকেই বাঁচার রসদ খোঁজেন তিনি।
সচিনের মত ও শুধু জিততে ভালবাসত, ২৬/১১-র শহিদ মেজর সন্দীপ উন্নিকৃষ্ণনকে স্মরণ করলেন বাবা
ABP Ananda, Web Desk
Updated at:
26 Nov 2018 02:47 PM (IST)
দেশ (nation) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -