পটনা: বিহারে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। ইতিমধ্যেই ১২টি জেলায় প্রায় সাড়ে ২৭ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে, নতুন করে হতাহতের কোনও খবর নেই। এখনও পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।


সিওয়ান জেলার মধ্য দিয়ে বহমান ঘাঘরা-দারাউলি এবং গঙ্গপুর-সিসওয়ান নদী দুটিই বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। একইভাবে, মুজফ্ফরপুর জেলার বাগমতী-বেনীবাদ, খগাড়িয়া জেলায় কোশী-বালতারা, পূর্ণিয়া জেলায় মহানন্দা-ঢেঙ্গরাঘাট  এবং কাটিহার জেলার ঝাবা নদী—সব বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে।

মোট ১২টি জেলাকে বন্যা-বিধ্বস্ত করেছে বিহার প্রশাসন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০০ লক্ষ হেক্টর জমি। এরমধ্যে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ হেক্টর ফসল নষ্ট হয়েছে। কবলিত হয়ে পড়েছেন প্রায় সাড়ে ২৭ লক্ষ মানুষ। প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার পাকা বাড়ি এবং সাড়ে চার হাজার মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৬৭ লক্ষ টাকার মতো।

ইতিমধ্যেই উদ্ধারকার্য শুরু করে দিয়েছে নীতীশ কুমার প্রশাসন। কবলিত মানুষদের উদ্ধারে প্রায় ১০৬৩টা নৌকা নামানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬ লক্ষ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৪১৫টা ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। সেখানে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। কাজ করছে ১১২টি মেডিক্যাল টিম।

ত্রাণ শিবিরে ৩,০৩৭ কুইন্টাল চাল, ৬৪১ কুইন্টাল গুড়, ১.৮৪ লক্ষ দেশলাই, ৩৫৪০ মোমবাতি, কেরোসিন, পলিথিন শিট এবং ৪২ হাজার খাবারের প্যাকেট বণ্টন করা হয়েছে। বন্যা-পীড়িত জেলাগুলিতে জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে।