নয়াদিল্লি: ৩২ লক্ষ নয়, গত বছর তথ্য চুরি হয়েছে ২৯ লক্ষ ডেবিট কার্ডের। টাকা হাতানো হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৩০০টি কার্ডের। লোকসভায় লিখিত বিবৃতি কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী সন্তোষ কুমার গাঙ্গোয়ারের।
সংসদে এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী সন্তোষকুমার গাঙ্গোয়ার জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের ২১ মে থেকে ১১ জুলাইয়ের মধ্যে সারা দেশে এটিএমের মাধ্যমে অন্তত ২৯ লক্ষ ডেবিট কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে হ্যাকাররা। হিতাচির প্রযুক্তি-পরিকাঠামোর সঙ্গে যুক্ত যে সব এটিএম, সেগুলিতেই ভাইরাস ঢুকিয়ে ওই কাজ করেছে তারা। রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে দেওয়া তথ্য অনুসারে এই ঘটনায় টাকা খোয়া গিয়েছে ৩,২৯১টি কার্ডের।
পাশাপাশি, ব্যাঙ্কগুলিকে মন্ত্রীর পরামর্শ, সচেতনতা বাড়াতে হবে গ্রাহকদের। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কোন এটিএমে ভাইরাস ঢোকানো হয়েছে কি না, তা কী করে বুঝবেন সাধারণ মানুষ?
এপ্রসঙ্গে এক এথিক্যাল হ্যাকার জানিয়েছেন, সতর্ক থাকতে হবে, ঠিক আছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়।
গত বছর অক্টোবর মাসে ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া বা এনপিসিআই জানায়, এসবিআই, এইচডিএফসি, আইসিআইসিআই, অ্যাক্সিস সহ বহু ব্যাঙ্কের ৩২ লক্ষেরও বেশি কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে হ্যাকাররা। তার মধ্যে ২৬ লক্ষ ভিসা কার্ড এবং ৬ লক্ষ রুপে কার্ড।
এর পরই আগাম সতর্কতা হিসেবে ৬ লক্ষ কার্ড ব্লক করে দেয় স্টেট ব্যাঙ্ক। ওই পথে হাঁটে আরও কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক। অবিলম্বে পিন পাল্টে ফেলা ও নিজের ব্যাঙ্কের এটিএম ছাড়া অন্য এটিএম থেকে টাকা না তোলার পরামর্শ দেয় কয়েকটি এইচডিএফসি, আইসিআইসিআই সহ কিছু বেসরকারি ব্যাঙ্ক।